চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন চা দোকানি সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী। ছোট্ট এ চা দোকানের আয় দিয়েই চলে তার সংসার। দোকানের ব্যস্ততার ফাঁকে নামাজ পড়তে গিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন স্বচ্ছ একটি প্যাকেট। হাতে নিয়ে দেখেন টাকার বান্ডিল। দেন-দরবার করে টাকার আসল মালিককে খুঁজতে থাকেন। অবশেষে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় টাকা ফেরত দেন তিনি। এ ঘটনা জানাজানি হতেই প্রশংসায় ভাসছেন এ চা দোকানি।
সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, নামাজে যাওয়ার সময় যখন টাকাটা পেয়েছি, কেউ দেখেনি। পরিবারকে জানাই। সন্তানরা বলছিল, হয়ত আল্লাহতায়ালা ইমান পরীক্ষা করার জন্য এ টাকা দিয়েছেন। এমনও হতে পারে এটা কোনো বিপদের টাকা ছিল।
তিনি বলেন, টাকার বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখে আমি নিজের কাছে রাখি। নামাজ পড়ে এসে দোকানেই টাকা আলাদা করে রাখি। পরে মসজিদের ইমামকে জানাই। এর পর থেকে খুঁজতে থামি প্রকৃত মালিককে। খুঁজে না পেয়ে সদর উপজেলা প্রশাসনকেও জানাই।
জানা যায়, রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাখাওয়াত জামিল সৈকত তার কার্যালয়ে প্রকৃত টাকার মালিকের হাতে এ ৮০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, আজকাল এমন সততার মানুষ খুব একটা দেখা যায় না। যেমনটি সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারীর মাঝে খুঁজে পেয়েছি। তাই তার এই সততা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে।
ফেরত পেয়ে টাকার প্রকৃত মালিক পেশায় ঠিকাদার আরাফাত তনয় বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছিলাম শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে। কিন্তু সেই টাকার প্যাকেট কোথায় যে রেখেছি। তা আর মনে করতে পারিনি। একপর্যায়ে এই ৮০ হাজার টাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আবার ফিরে পাব, এমনটা অবিশ্বাস্য বটে।
এ ঘটনায় চা দোকানি সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারীকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা, ২টি কম্বল দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন