ঢাকাসহ দেশের নয় জেলায় সকাল ৯টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চরের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে বৃষ্টিতে স্বস্তি এসেছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়।
রাজধানী মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়। রাত সোয়া ১টার পর ফার্মগেট, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ধানমণ্ডি এলাকায়ও শুরু হয় বৃষ্টি।
এর আগে সন্ধ্যায় নামে বৃষ্টি রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পেয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, এ বছর এপ্রিলে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৭৬ বছরে এপ্রিলে রেকর্ড করা গড় তাপমাত্রার চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। এছাড়া, এবারই এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে।
শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এপ্রিলে দেশে গড় বৃষ্টিপাত ১৩৪ মিলিমিটার।
এদিকে বৃষ্টি হওয়ায় গরমের নাভিশ্বাস থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এসেছে জনজীবনে। অনেকেই বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এই মধ্যরাতে বৃষ্টিতে ভিজে উল্লাস করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
মন্তব্য করুন