কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৪ এএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সাক্ষাৎকারে মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। ছবি : সৌজন্য
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। ছবি : সৌজন্য

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনপূর্বক সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল অব স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে মার্কেটিং এবং ফিন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ঘিরে আগামীতে তার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন।

কালবেলা: নতুনভাবে একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এবারের লক্ষ্য কী?

মো. তাজুল ইসলাম: গত পাঁচ বছরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী থাকা অবস্থায় যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। একইভাবে আগামী দিনগুলোতেও দেশ ও জাতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জাতীয় কর্মসূচি অনুযায়ী কাজ করে যাব। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে উন্নীত করা। উন্নত দেশের কাতারে আসার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি। কোথাও আমাদের কোনো ঘাটতি রয়েছে কি না, সেগুলো আমরা খুঁজে দেখছি। ঘাটতি খুঁজে পেলে সেগুলো যথাসম্ভব পূরণ করা হবে।

কালবেলা: এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশকে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে?

মো. তাজুল ইসলাম: আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। একটি হতদরিদ্র দেশকে আজ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করেছি। দরিদ্র দেশ হিসেবে লড়াই করে উন্নতি করেছে—এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে এখন রোলমডেল হিসেবে দেখা হয়। আমরা এখন পর্যন্ত যা কিছু অর্জন করেছি, তা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা ও চেতনার ফসল। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

কালবেলা: দেশের ভেতরে রাজনৈতিক কোনো সংকট তৈরি হলে তা মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা কী?

মো. তাজুল ইসলাম: কাজ করতে গিয়ে আমাদের সামনে কী ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে এবং সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা আমরা বিবেচনায় রেখেছি। জাতীয় নীতি-পরিকল্পনাগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে প্রণয়ন করা হয়। মূল লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় রেখেই বাকি পলিসিগুলো নির্ধারণ করা হয়।

কালবেলা: লক্ষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আপনার সরকারের প্রাধিকারগুলো কী?

মো. তাজুল ইসলাম: অনেক বিষয়ই আমাদের অগ্রাধিকার এসেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক অবকাঠামো তৈরি, দারিদ্র্য বিমোচন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এবং বাংলাদেশকে উন্নত মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার জন্য যেসব কাজ করা দরকার, সেগুলোই আমাদের প্রায়োরিটি।

দেশের কৃষিকে আরও উন্নত করতে চাই। গ্রামীণ বাজার সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার করতে চাই। আমরা দেশের সরবরাহ ব্যবস্থাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। দেশব্যাপী সুপেয় পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতি করতে চাই। আমরা ওপেন নেভিগেশন ফ্রি কান্ট্রির স্ট্যাটাস অর্জন করেছি। আমাদের উপমহাদেশ ও আশপাশের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া এটা আর কেউ পারেনি। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ভুটানসহ অনেক দেশকে পেছনে ফেলে আমরা ওপেন নেভিগেশন ফ্রি কান্ট্রির মর্যাদা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

কালবেলা: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?

মো. তাজুল ইসলাম: আমাদের জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব লোকাল গভর্নমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের সক্ষমতা অনেক বাড়ানো হয়েছে। ২০১৯ সালে আমি যখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন এক বছরে তিন হাজার জনপ্রতিনিধিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ বছরে আমরা ৪৩ হাজার জনপ্রতিনিধিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে, আমাদের প্রশিক্ষণের মাত্রা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। জনপ্রতিনিধিরা নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে যত সচেতন হবেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ততটাই এগিয়ে যাবে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার জন্য আইনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে।

কালবেলা: বাংলাদেশে একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। এটি মোকাবিলায় এবার আপনাদের পরিকল্পনা কী?

মো. তাজুল ইসলাম: ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো জনসচেতনতা তৈরি। জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচার বাড়িয়েছি। ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। আর এডিস মশা নদী, খাল-বিল বা পুকুরে জন্ম নেয় না। এডিস মশা জন্মায় বাড়িতে, যেখানে স্বল্পপরিমাণ পানি জমে থাকে। বাড়ির বারান্দা, ছাদ বা আশপাশে পড়ে থাকা পাত্র পরিষ্কার করে ফেলা হলে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করা সম্ভব।

মানুষ সচেতন হলে এবং নিজের বাসাবাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখেন এবং এডিস মশা জন্মানোর মতো স্থানগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে আমরা এডিস মশা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এর বাইরে সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো সমানভাবে কাজ করবে। গত বছর আমি নিজে সিটি করপোরেশনের অনেক জায়গায় অনেক বিল্ডিংয়ে হেঁটে উঠেছি। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। আমরা দেখেছি অন্যান্য বছর মানুষের বাসাবাড়ির চারপাশে বা নির্মাণাধীন ভবনে অনেক এডিস মশার লার্ভা জমে থাকত, এ বছর তেমনটা নেই। অর্থাৎ আমার মনে হয়েছে ঢাকা শহরের মানুষ অনেকটা সচেতন হয়েছে। ডেঙ্গু সংক্রমণ হয় মূলত ঢাকা শহরে; কিন্তু এ বছর সারা দেশেই এটি ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশে নগরায়ণ বাড়ছে, পাকা বাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। এসব কারণে ঢাকার বাইরেও অনেক জায়গায় এডিস মশার সংক্রমণ বাড়ছে।

কালবেলা: ৫ বছর মন্ত্রী থাকাকালীন আপনার অর্জন সম্পর্কে জানতে চাই...

মো. তাজুল ইসলাম: আমরা বিষয়ে কমবেশি কাজ করেছি। পৌরসভাগুলো আগে তাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে পারত না, এখন কর্মচারীরা সময়মতো বেতন পান। এ ছাড়া পৌরসভাগুলোর অবস্থাও উন্নতি হয়েছে। আমরা উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদের আইন পরিবর্তন করেছি। ইউনিয়ন পরিষদের আইন পরিবর্তন প্রক্রিয়াধীন। এভাবে আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।

কালবেলা: প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা রাখছে?

মো. তাজুল ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মানুষের কাছে অঙ্গীকার করেছেন গ্রামে শহরের মতো সুবিধা পৌঁছে দেবেন। স্বাভাবিকভাবে গ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি চেষ্টা করে চলেছি, যেভাবে কাজ এগিয়ে নিলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে, তা নিশ্চিত করা। এই কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে আমাদের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

কালবেলা: স্থানীয় সরকারের কাজের মান উন্নয়নে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন?

মো. তাজুল ইসলাম: অবকাঠামো উন্নয়নে মান ঠিক রেখে সময়মতো কাজ শেষ করার ওপর জোর দিয়েছি। আগের তুলনায় কাজের মানের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। কাজের কাঠামোগত নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। কাজের যে নির্ধারিত প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সঠিকভাবে অনুসরণ করার জন্য আমার পক্ষ থেকে বেশকিছু নির্দেশনা রয়েছে। লিখিত আকারে এই নির্দেশনাটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা এ নির্দেশিকা অনুসরণ করছেন। এ কারণে কাজের মান আগের থেকে ভালো হয়েছে।

আগে রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করলেই নানা প্রশ্ন উঠত। এজন্য আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বুয়েটের কয়েকজন প্রকৌশলী নিয়ে একটি কমিটি গঠন করি। পরে যৌক্তিক অর্থে কোথায় ব্রিজ ও রাস্তা হওয়া জরুরি, সেটি নির্ধারণ করে কাজ এগিয়ে নিই। কাজের ধরনে এ পরিবর্তনটা খুব জরুরি ছিল। হয়তো কিছু টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। কিন্তু কাজের মান টেকসই হচ্ছে। ব্রিজগুলোর ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। পানি ও নৌযান চলাচলে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

দেশের যে কোনো জায়গায় রাস্তা করার ক্ষেত্রে একটি আইডি নম্বর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ওই রাস্তা মানুষের যোগাযোগে কতটা ভূমিকা রাখবে, কৃষিতে কতটা ভূমিকা রাখবে, মৎস্যসহ বাণিজ্য ক্ষেত্রে কতটা কাজে আসবে ইত্যাদি বোঝা যাবে। অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমি এই মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রী বাড়িয়েও দিয়েছেন। ফলে গ্রামীণ অবকাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আসছে।

আমাদের লক্ষ্য একটাই, গুণগত মান বজায় রেখে নির্মাণকাজ শেষ করা। কারও গাফিলতি দেখা গেলে তাকে সতর্ক করা হয়। এর আগে অনেককেই সতর্ক করা হয়েছে। পরে তারা নিজেদের শুধরে নেওয়ায় আর কঠিন শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের সবাইকে সঠিক নির্দেশনা দিতে গিয়ে অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনেকে সেগুলোর নোট নিয়ে রেখেছে। শুনছি, আমার নির্দেশনাগুলো পুস্তিকা আকারে বের করবে, যাতে ভবিষ্যতে এগুলো সবার কাজে লাগে।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইতালিতে বাড়ছে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা

ফের পেছাল কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’

৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে ২ এজেন্সি মালিক উধাও 

কুমিল্লায় বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষে সফলতা

অসহায় ও পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটাল চবির তরুণ দুই উদ্যোক্তা

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ / ২ বছর পর ফ্রান্স দলে কান্তে

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর?

কুড়িগ্রামে ব্রিজ ভেঙে দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ভয়ংকর রাসেল ভাইপারকে পিটিয়ে মারলেন কৃষকরা

বিসিবির আপত্তি, ‘পাত্তা’ দিল না আইসিসি

১০

গাজীপুরে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন

১১

যুগান্তকারী আবিষ্কার গুগল অ্যাস্ট্রা কী?

১২

চিন্তা নেই, হারানো জিনিস খুঁজে পাবেন নিমিষেই

১৩

সুপারি গাছের খোলে তৈরি হচ্ছে নান্দনিক তৈজসপত্র

১৪

গরমে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ

১৫

আজ আ.লীগের কর্মসূচিতে যা থাকছে

১৬

বিশ্বকাপে মোস্তাফিজকে শুভকামনায় কী বলছে চেন্নাই

১৭

পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

১৮

চেয়ারম্যানের নাম্বার ক্লোন করে টাকা দাবি

১৯

আজ সুখবর পেতে পারেন যারা

২০
X