ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি নূরুল বশর আজিজী ও সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ বলেছেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কোটা বিষয়ে সংসদে আইন পাস না করে ২০১৮ সালের মতো আবারও প্রতারণার নীলনকশা করছে সরকার।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা বলেন, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে নেতারা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা সব মামলা প্রত্যাহার, দ্রুত ইন্টারনেট চালু ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও খুনিদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।