ইসলামী সমাজেরর আমির হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে জাতীয় জীবনে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের পথ পরিষ্কার হয়েছে। এই ছাত্র-জনতাকেই মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ভূমিকা পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার (০৬) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ইসলামী সমাজ আয়োজিত ‘বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের উপায়’ শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ছাত্রনেতাদের বৈষম্যবিরোধী চেতনার সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধানের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করলেই মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন হবে এবং সব ধর্মের লোকেরা শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং আল কুরআনের আইন-বিধানের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে এ সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে সফল বিপ্লবের ফলাফল ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে।
ইসলামী সমাজের আমির দেশবাসী সবাইকে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর বন্ধ করার জন্য পাড়ায়-মহল্লায় কমিটি গঠন করে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান। তিনি সাহসী বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানান এবং আন্দোলনে আহত ও নিহত লোকদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ ইয়াছিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, সোলায়মান কবীর, আমির হোসাইন, আজমুল হক, আসাদুজ্জামান বুলবুল, মো. নুরুদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।