বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার (৩০ জুলাই) দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে আওয়ামী লীগ। শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন : বিএনপির অপরাজনীতি ঠেকাতে মাঠে থাকবে আ.লীগ : তথ্যমন্ত্রী
কাদের বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রোববার সারা দেশের সব জেলা, মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে আমাদের এই কর্মসূচি নির্বাচন পর্যন্ত চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী চুপ করে থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করব। নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করব বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে আহত ৫০০, গ্রেপ্তার ১২৪
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এটাই করতে চেয়েছিল গত শুক্রবার। কিন্তু আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে কিছু করতে পারেনি। এ সময় শুক্রবার (২৮ জুলাই) যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, নেত্রী গণজাগরণের ঢেউ প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কাদের বলেন, তারেক জিয়া প্রতিনিয়ত আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করছে। প্রতিনিয়ত আদালত অবমাননা করছে। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে গালিগালাজ করছে। কালকে তো তারেক এমনও বলেছে একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ পড়বে। লাশ ছাড়া সে কথা বলে না, টাকা ছাড়া সে কথা বলে না। প্রকাশ্যে বলে আন্দোলন করো, টাকার অভাব হবে না! তারেক কি আইনের ঊর্ধ্বে? তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা আইন মানে না। আইন নিয়ে কটাক্ষ করে।
আরও পড়ুন : এবার বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত করে চারটি বাসে আগুন দিয়েছে। সেখানে থাকা পুলিশ ভ্যানে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। আরও গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। মোট সাতটি বাসে হামলা চালায় তারা। আওয়ামী লীগের আশঙ্কাই সত্যি হলো- বিএনপির একদফা আন্দোলন হলো অগ্নিসন্ত্রাসের আন্দোলন।
শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের জরুরি সভা শুরু হয়। সভায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, মারুফা আক্তার পপি, তারানা হালিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন