মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি, ভোটার তালিকা করেছি, স্বচ্ছ ভোট বাক্স করেছি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুরে মহাসমাবেশে এ সব বলেন তিনি। এদিন বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করে ফরমায়েশি রায় : ১২ দলীয় জোট
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, রংপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান তিনি।
ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হয়। একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আসলেই মানুষের উন্নতি হয়। কাজেই নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও আমাদেরকে কাজের সুযোগ করে দেবেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালে মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত দেশ রেখে যাব বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : দেশে সুবিচার নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা ও ভাই হারিয়েছি, আমার হারাবার কিছু নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার, আমার সংসার। জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাই বলেও জানান তিনি।
মহাসমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১টা ১৩ মিনিটে রংপুরে পৌঁছান। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাস হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জনসমাবেশে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
এর আগে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে দুপুরে মহাসমাবেশ শুরু হয়। প্রথমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করার মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, জনসভাস্থল, পুরো শহর এবং সার্কিট হাউস পুরোটাই আমরা সিসিটিভির কাভারেজে এনেছি। পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে এবং নগরীজুড়ে থাকবে। সঙ্গে থাকবে স্বেচ্ছাসেবকরা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার রংপুরে এসেছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য করুন