নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সমাগত। কারণ এই সরকার জানে, তারা জনগণের এই ব্যাপক উপস্থিতিতে, জনগণের এই চাপের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। এদিন দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরেও এই কর্মসূচি পালিত হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই সরকার আমাদের দেশের জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা আমাদের ছেলেদের গ্রেপ্তার করছে, জেলে পাঠাচ্ছে, সাজা দেওয়ার কাজ খুব দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। বিএনপির নেতৃবৃন্দ যাতে নির্বাচন করতে না পারে- সেই ব্যবস্থা তারা করছে। এসব করে কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই রায় আমরা মানি না, জনগণ মানে না। আমরা ইনশাল্লাহ এটাকে প্রতিহত করব আন্দোলনের মাধ্যমে, যে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে সেই নিপীড়নকেও প্রতিহত করব। শুধু সময়ের ব্যাপার, একটু ধৈর্যের ব্যাপার।
বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদের উচ্চ আদালত থেকে জামিন প্রাপ্তির পরও তাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানান ঢাকা মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক আব্বাস। এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিভিন্ন কালাকানুন করে মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সরকার হরণ করছে বলে অভিযোগও করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা জেলার খন্দকার আবু আশফাক, নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকতউল্লাহ বুলু, আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, রকিবুল ইসলাম বকুল, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেনসহ কেন্দ্রীয় অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন