বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা বলেছেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রধান দাবি। এ মূহূর্তে এর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই জনগণের দাবিকে মেনে নিয়ে সরকারে অবিলম্বে এ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জনসভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
হামলা-মামলা দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের নেতারা বলেন- এ মুহূর্তে দল নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে, ওই সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে।
নেতারা প্রশ্ন করেন- আমেরিকা, ভারতের কথায় নির্বাচন হবে, নাকি দেশের জনগণের কথায় নির্বাচন হবে? নেতারা সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনমত উপেক্ষা করার পরিণতি ভালো হবে না।
পার্টির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রমিকনেতা মাহবুব আলম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন- বিনা ভোটে ঘোষিত এ অগণতান্ত্রিক সরকার বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শাসক গোষ্ঠী এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, এ সরকারসহ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরেপক্ষ নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সমাবেশে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, যে নির্বাচন ব্যবস্থা, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংষ্কার করতে হবে। পুরো ব্যবস্থা বদল করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষমতায় যারা আছে এবং যারা শুধু ক্ষমতায় যেতে চায়। কেউই জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না। তারা বিদেশি শক্তির ওপর ভর করে মসনদে বসতে চায়। এজন্যই বিদেশিদের দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দেওয়া শুরু করেছে।
সমাবেশ থেকে জেলা উপজেলায় জনসভা ও সেপ্টেম্বরে ভোট ও ভাতের দাবিতে গণজাগরণ অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন