ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, হামলা-মামলা, হুমকি-ধমকি দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। নিজেদের সেইফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা ও গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সব রাজবন্দির মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণমিছিলপূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ আটক সব রাজবন্দির মুক্তি এবং যুগপৎ আন্দোলনের একদফা দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে যায়। ক্ষমতায় থাকতে বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করেছে, তারা যেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনে। তাই এদের হাতে এখন আর দেশ-জনগণ, দেশের মানুষের ধর্ম-কর্ম নিরাপদ নয়।
দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া শুরু করেছে। তবে এবার আর বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। এবার গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করে সরকার নতুন নাটক শুরু করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন এবং সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান, সাবেক সহকারি আহ্বায়ক বায়জিদ শাহেদ, সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব জিলু খান, সাবেক সহকারী সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মুন্না, সাবেক সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, নাইটিংগেল মোড়, বিজয়নগর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন