কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচনের আগে দুটি বিষয়ের সমাধান চান জামায়াত আমির

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন দেরিতে হতে পারে আশঙ্কায় বিএনপি বিরোধিতা করলেও, জামায়াতে ইসলামী দুটি বিষয়ে সমাধান চায়। দলটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চায় এবং আগামী নির্বাচনে আসন পুনর্বিন্যাসও চায়।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পরপর তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। অসংখ্য যুবক-যুবতীর বয়স হয়েছে ভোটার হওয়ার। তারাও ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচনের প্রতি তাদের আস্থা ফেরাতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এ জন্য আমরা যৌক্তিক সময় দেওয়ার পক্ষে।

বুধবার রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান।

আমিরে জামাত বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে দীর্ঘ নয়, যৌক্তিক সময় দিতে চাই। প্রবাসীরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সমানতালে লড়াই করেছেন। তাদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কাউকে না কাউকে দেশের দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। এর জন্য একটি রোডম্যাপ দিন। সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ভোটার হওয়ার সুযোগ দিতে হবে জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত সরকার জুলুম করে, আসন পুনর্বিন্যাস করেছে। বিরোধী দল শক্তিশালী এমন জায়গায় আসনসংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। আবার পুনর্বিন্যাস করতে হবে বিবেক ও বাস্তবতার আলোকে।

দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়ে জামায়াত আমির বলেন, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, মানবিক, দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই। সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব যুবকদের হাতে তুলে দিতে চাই। নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার প্রতি সম্মান রেখে সবাইকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় জামায়াত। দেশবাসীর সহযোগিতা পেলে তা সম্ভব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এশিয়া কাপ থেকে সড়ে দাঁড়ালে কত টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান?

সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে আগুন, ৮ শ্রমিক দগ্ধ

এলডিসি থেকে উত্তরণে দেশের বাণিজ্য সুবিধা সংকুচিত হতে পারে : তারেক রহমান

যুবদল নেতা হত্যাচেষ্টায় মামলা নিচ্ছে না পুলিশ

যেসব কারণে হঠাৎ জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির দূরত্ব

হোয়াটসঅ্যাপে ঘুষের প্রস্তাব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত

মুসলিম দেশগুলোর যৌথবাহিনী গঠনের ইঙ্গিত, থাকবে পাকিস্তানও

আইওসিই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করল বাংলাদেশি দল

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, অতঃপর...

চলতি মাসেই সূর্যগ্রহণ, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?

১০

এশিয়া কাপে থাকা না থাকা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পাকিস্তান

১১

গাজা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে মানুষ

১২

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জকসু নির্বাচন হবে : জবি উপাচার্য 

১৩

পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত শুরুর পর সাইফের বিদায়

১৪

যুক্তরাষ্ট্রে সিকিউরিটি ডিভাইসের মাদারবোর্ড (পিসিবিএ) রপ্তানি করছে ওয়ালটন

১৫

ফোনে কথা বলতে বলতেই প্রাণ গেল যুবকের

১৬

জানুয়ারিতে সম্পূরক বৃত্তি পাবে শিক্ষার্থীরা : জবি উপাচার্য 

১৭

পুরুষের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমানো আমার পক্ষে সম্ভব নয় : তনুশ্রী দত্ত

১৮

জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতার 

১৯

ডাকসু-জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে দাবি ইউটিএলের 

২০
X