আওয়ামী লীগ সরকার তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধীমত দমনে পুরোনো মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে নুর-রাশেদের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ।
সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে দলের দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গণঅধিকার পরিষদ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে এই সরকার। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে সরকারের এজেন্সির লোক দিয়ে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
রোববার (২০ আগস্ট) রাতে গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলা শাখার সভাপতি জমসের আলি, ক্রীড়া সম্পাদক জাহাঙ্গীর, কার্যকরী সদস্য বাবু মিয়া, তুলাল হোসেন, হান্নান মিয়া, শিপন মিয়া, জামাল শেখ ও রফিকুল- এই আটজন নেতাকর্মীকে রাত ২টার দিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ধুনট থানা পুলিশ।
পরে থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের একটি মিথ্যা মামলায় সবাইকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) তাদের কোর্টে তুললে জামিন না দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে কক্সবাজারে গত ১৫ আগস্টে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে এক মিথ্যা মামলায় জেলা ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি রবিউলকে আসামি করেছে পুলিশ। অথচ ওইদিন সকালে রবিউল তার পরিবারসহ টেকনাফে বেড়াতে যান এবং রাত ১০টায় বাসায় ফেরেন।
গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, চলমান একদফার যুগপৎ আন্দোলনে সরকার ভীত হয়ে তার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধীমত দমনে পুরোনো মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে নগ্নভাবে ব্যবহার করছে। ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। তবে হামলা-মামলা করে সরকার তার গদি রক্ষা করতে পারবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের বিদায় হবে এবং জনগণের বিজয় হবে।
মন্তব্য করুন