সরকার কথিত বিচারের নামে প্রহসন, পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর কারা-নির্যাতন, চিকিৎসায় অবহেলা সর্বোপরি অপচিকিৎসার মাধ্যমে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নির্মমভাবে শহীদ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকালে রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর সাড়ে ১১ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন প্রদক্ষিণ করে মিরপুর ১১ বাসস্ট্যান্ড গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাছির উদ্দীন, ছাত্রনেতা সালাহউদ্দীন প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, আল্লামা সাঈদীকে যে পরিকল্পিতভাবে শহীদ করা হয়েছে তার বাস্তব প্রমাণ হলো তার মৃত্যুর পর ঢাকায় নামাজে জানাজা করতে দেওয়া হয়নি। যারা গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার নানাবিধ জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সহস্রাধিক মুসুল্লিকে আটক করা হয়েছে। এমনকি আল্লামা সাঈদী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোক প্রকাশের কারণে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে কি গৌর গোবিন্দের শাসন চলছে যে, একজন আলেমের জানাজা করা যাবে না? সময় থাকতে সরকারকে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে শোকাহত জনতার ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় গণবিরোধী সরকারকে গণরোষে পড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় দেশবরেণ্য আলেমদের একের পর এক হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। তাই এই ইসলাম বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আল্লামা সাঈদীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান। অন্যথায় সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্তব্য করুন