লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ সুগম করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহতকরণ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দাবিতে এ সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
লায়ন ফারুক রহমান বলেন, তারেক রহমান আমাদের দেশের সন্তান। তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সন্তান। ওয়ান-ইলেভেনের সরকার এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তার বিরুদ্ধে একের পর এক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট মামলা দিয়েছে। তিনি আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
তিনি আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ সুগম করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। সব বাধা উপেক্ষা করে তাকে এই সরকারের সরাসরি আহ্বান করা উচিত যে, আপনি আসেন। আমরা জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামি মূল্যবোধে এমন একটি নির্বাচন করব, যে নির্বাচন হবে এ দেশের জনগণের প্রত্যাশার নির্বাচন, বাংলাদেশ বিনির্মাণের নির্বাচন। আগামীর বাংলাদেশ হবে শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ১২ দলীয় জোটের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, আপনি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী। আপনি দেশে-বিদেশে একজন সম্মানিত ব্যক্তি। আপনাকে বলব, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবিলম্বে নির্বাচন দিন। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে আজীবন স্মরণ করবে।
মো. ফারুক রহমান বলেন, সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন- দেশের মানচিত্র নতুন করে আঁকতে হতে পারে। এটা কীসের আলামত? তা উনাকে জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ এবং চব্বিশে তিন হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ। যদি দেশের মানচিত্রে হাত দেওয়া হয়, মিয়ানমারকে করিডর দেওয়া হয়, আমাদের আয়ের উৎস চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হয়- এসবের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ১২ দলীয় জোট রাজপথে নামব, রুখে দাঁড়াব। দেশ ও দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো চুক্তি, কোনো কিছু আমরা মেনে নেব না।
১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মন্তব্য করুন