মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন অনিয়ম বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৬ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখার একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্য।
এর আগে গত ৫ জুন দৈনিক কালবেলায় ‘এক মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলে খরচা ১৮ ফ্ল্যাট’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কল্যাণ সমিতিতে অবৈধদের মধ্যে ফ্ল্যাট বরাদ্দ, দলীয়করণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও ভাতা বাতিল এবং অবৈধ সদস্য সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দুই মেয়ের নামে চারটি ফ্ল্যাটসহ একাধিক অবৈধ সদস্য ও তাদের ছেলেমেয়েদের নামে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়ার ব্যাপক অনিয়মের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
এরপর সেই অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করছে দুদক। সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটিতে রাকিন সিটি ও মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়েছে দুদক।
জানা যায়, দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দুদক টিম জাতীয় গৃহায়নের পরিচালক মো. আজিজ হায়দার ভূঁইয়ার দপ্তরে যান এবং এই বিষয়ে কথা বলেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম।
এ বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, এক মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলে খরচা ১৮ ফ্ল্যাট। এই অনিয়মের বিষয় তদন্তের কাজে গৃহায়ন ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) গিয়েছিল দুদক টিম। গৃহায়নের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালকের কাছে গিয়ে রাকিন সিটি এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করছে।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও মিলেছে। বিস্তারিত বিশ্লেষণ এবং অনুসন্ধানের পরে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন