নখ-দন্তবিহীন উচ্চকক্ষ জাতির কোনো কাজে আসবে না। বরং এই উচ্চকক্ষ জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, উচ্চকক্ষ যদি ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতে না পারে, তাহলে সেই উচ্চকক্ষ শুধু রাষ্ট্রের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার অপচয়ই বাড়বে, কার্যকর কিছুই হবে না এবং একসময় উচ্চকক্ষ রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা দেখা দেবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের যুগ্ম আহ্বায়ক ফওজিয়া ফারিহা করবী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান আসিফ, দপ্তর সম্পাদক সোলায়মান আল হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ জানান, নিম্নকক্ষের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হলে ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহি আসবে না। এবি পার্টি ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ চায়। এমন উচ্চকক্ষ চায়, যেখানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব থাকে। কার্যকর উচ্চকক্ষ থাকতে হবে। সব মিলিয়ে আমরা মনে করি, এটি যেন রাজনৈতিক পুনর্বাসনের কেন্দ্রে পরিণত না হয়।
ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক বলেন, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে তো এখন পর্যন্ত কোনো ঐকমত্য হয়নি। সংস্কারপ্রক্রিয়ার মৌলিক সংস্কারে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। তবে আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য হয়েছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে। এ ব্যাপারে দলগুলো একমত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুধু সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে পাস হলেই হবে না, গণভোটও প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, কী পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ তৈরি হবে, সেটা নিয়েও একমত হওয়া যাচ্ছে না। তা নিয়ে দুটি মত আসছে। একটা হলো, নিম্নকক্ষের আসনের ভিত্তিতে। আর কমিশনের প্রস্তাব হলো, ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে। এখানে অধিকাংশ দল ভোটের অনুপাতে একমত। এবি পার্টিও ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ চায়। উচ্চকক্ষ ও সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে আলোচনা এখন অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এখান থেকে যেন একচুল নড়ছে না।
মন্তব্য করুন