রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘শনিবারের জাতীয় সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করবেন, যার ফলে সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই দুর্ভোগ যেন যতটা সম্ভব সীমিত রাখা যায়, সেজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকেই স্থল, নৌ, সড়ক ও রেলপথে মানুষ ঢাকায় প্রবেশ শুরু করবে। আমরা চাই, কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যেন জাতীয় সমাবেশটি সম্পন্ন হয়।’
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা সারা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন আমাদের সমাবেশটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারি। লাখ লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করার কারণে হয়তো যানজট হবে, যার ফলে জনদুর্ভোগ তৈরি হতে পারে। এজন্য আমাদের আমিরে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজধানীবাসীসহ দেশবাসীর কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সমাবেশকে ঘিরে ছয় হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক ৮টি বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সমাবেশস্থলের শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও আগত অতিথিদের সেবা দিতে কাজ করবেন।’
এ সময় সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানান জামায়াতের এ নেতা। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিএমপি কমিশনার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সাধ্য অনুযায়ী প্রশাসনিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দেবেন।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আমাদের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাসগুলো কোন কোন স্থানে থামবে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
জানা গেছে, পিআর পদ্ধতি, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতসহ ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে এই জাতীয় সমাবেশে ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
মন্তব্য করুন