একটি গোষ্ঠী বিএনপি ও তারেক রহমানকে টার্গেট করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘বরাবরই কোনো রক্তারক্তি হলেই বিএনপির দিকে আঙুল তাক করা হয়। সরকারকে কিছু বলে না, প্রশাসনকে কিছু বলে না। তারেক রহমান কি প্রধানমন্ত্রী? আসলে একটি গোষ্ঠীর টার্গেট বিএনপি, তাদের টার্গেট তারেক রহমান।’
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং কুচক্রী মহল কর্তৃক নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্বক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিজয়নগর, পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা যেভাবে টার্গেট করেছিলেন, সেই একই চক্রান্ত চলছে। আজকে দায়ী-দোষীদের সমালোচনা না করে তারেক রহমানের সমালোচনা করছেন, কুৎসা রটাচ্ছেন। এই চক্রটি শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে বাজে কথা বলতেও কুণ্ঠাবোধ করছে না।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস নির্বাচিত সরকার নয়, কিন্তু সবার সমর্থন আছে। আজকে মানুষ কিছুটা ভালো আছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে। শেখ হাসিনা গুণীজনকে সম্মান দিতেন না। তাদের সম্পর্কে উল্টোপাল্টা কথা বলতেন। কিন্তু সেটি ছিল ফ্যাসিস্ট শাসনামল। এসব কারণে জনগণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছিল আওয়ামী লীগ।’
পুরান ঢাকায় হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘মিটফোর্ডে বিএনপির নামধারী সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যা করে। সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো মাফিয়াদের সমর্থন করে না। সন্ত্রাসী বা অপরাধী নিজ দলের হলেও কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। প্রায় ছয় হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে মানুষটি কোনো অন্যায় সহ্য করতে পারেন না, অপরাধীর সঙ্গে কোনো আপস করেন না- সেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে।’
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং শ্রমিক দলের সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া, সদস্যসচিব বদরুল আলম সবুজ, উত্তরের আহ্বায়ক শাহ আলম রাজা, সদস্যসচিব কামরুজ্জামান কামরুল, ফরহাদ হোসেন বুলেট প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন