উত্তরায় কোনো একটি হাসপাতালে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট খোলার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ দাবি জানান অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
এ সময় তিনি রাজধানীর উত্তরা অঞ্চলে কোনো একটি হাসপাতালে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট খোলার দাবির সঙ্গে পুরোপুরি একাত্মতা ঘোষণা করেন।
নিহত ও আহতদের তালিকা প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ চিহ্নিত করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা।
শোকে বিপর্যস্ত না হয়ে যে কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সর্বোচ্চ সবর প্রদর্শন করতে মাইলস্টোনে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, মৃত্যু পুরোপুরি পূর্ব নির্ধারিত, তা যেভাবেই হোক না কেন। আগে-পিছে হওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি মানুষের এখতিয়ার বা আওতাভুক্ত নয়। তবে স্বজন হারানোর বেদনা সবাইকেই ব্যথিত করে। কিন্তু যে কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহ আমাদের সবরের নির্দেশ প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে সবর ও সালাতের মাধ্যমে তার কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন। আর সবরকারীদের জন্য পুরস্কারস্বরূপ ‘বায়তুল হামদ’ নামক বিশেষায়িত জান্নাতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মূলত, সবরকারীদের জন্য ভিন্নতর ও উত্তম পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি হাদিসে রাসুল (সা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাসুল (সা.) এক সন্তানহারা পিতাকে শান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, সবরকারীদের জন্য বিশেষ পুরস্কার রয়েছে। হাসরের ময়দানে হারানো সন্তান তার স্বজনদের পরিচ্ছদ ধরে টেনে জান্নাতের জন্য নিয়ে যাবেন, আর বলতে থাকবেন তাদের না নিয়ে তিনি কোনোভাবেই জান্নাতে যাবেন না। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সবর ও বেশি বেশি দোয়ার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ৯টি পরিবারে গিয়ে তাদের শান্ত্বনা ও খোঁজ-খবর নিয়েছি। জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান আগেই নিহত পরিবার ও আহতদের পাশে থেকে সম্ভব সবকিছু করার ঘোষণা দিয়েছেন। সে ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ ও চিকিৎসক প্রেরণ করেছি। দুর্গতদের জন্য যা করা দরকার আমরা সাধ্যের মধ্যে সবকিছুই করব-ইনশাআল্লাহ।
এ সময় নায়েবে আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মু. আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা-১৮ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন