সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) নির্বাচন মানেই দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবিব লিংকন।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক ঐক্য বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করে লিংকন বলেন, এই পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি চালু করা হয়, তাহলে পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসন এ দেশে আবার নেমে আসবে। আর সেই আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের সরকার হবে না, সেটা হবে দিল্লির সরকার। হাসিনার বিপদের সময় দিল্লি যে আশ্রয় দিয়েছে, তারই ঋণ শোধ করার জন্যই বাংলাদেশ একটা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে পরিণত হবে।
জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একটু ভাবেন যে, পিআর পদ্ধতি চালু হলে সবচেয়ে বেশি আসন পাবে বিএনপি। তারপরই পাবে পতিত আওয়ামী লীগ। তবে হ্যাঁ, জামায়াত ও এনসিপি যদি দেশে পিআর পদ্ধতি চায়, তাহলে আপনারা নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে এটা রাখেন এবং আপনারা সংসদে গিয়ে মেজোরিটি দিয়ে আইন পাস করান। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘাড়ে বন্দুক রেখে পিআর পদ্ধতি এই বাংলাদেশে পাস হতে দেওয়া যাবে না।
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, মনে রাখবেন- ঘোড়া ভালো, ডিম ভালো, কিন্তু ঘোড়ার ডিম ভালো না। তেমনিভাবে জামায়াত ভালো, ইসলাম ভালো, কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ভালো না।
এ সময় এনসিপি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সব সুবিধা নিয়ে দেশব্যাপী তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির (জাফর) এই মহাসচিব।
গণতান্ত্রিক ঐক্য বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন- ভাসানী জনশক্তি পার্টির মহাসচিব আবু ইউসুফ সেলিম, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, এবি পার্টির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রজন্ম একাডেমির চেয়ারম্যান কালাম ফয়েজী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন