সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাতে খন্দকার লুৎফরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এ তথ্য জানান।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডা. সামিউল আলিমের তত্ত্বাবধানে লুৎফর রহমান চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিজয়নগরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন খন্দকার লুৎফর রহমান। কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
ড. ফরহাদ জাগপা সভাপতির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সঙ্গে এনপিপির যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন ছিলেন।
এর আগে লুৎফর রহমানকে দেখতে দুপুরে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, দলের মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, যুগ্ম মহাসচিব কাজী মো. নজরুল, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সমমনা জোটভুক্ত গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এসএম শাহাদাত, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হারুন সোহেল, জাগপার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজ তাকে দেখতে যান।
এদিকে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতেই খন্দকার লুৎফর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।
পরে তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের হামলায় খন্দকার লুৎফর রহমানের ডান হাঁটু, ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লাগে এবং একাধিক স্থানে সেলাই দিতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন