সকালের আলোর সঙ্গে সঙ্গে শরীর জেগে ওঠে। তখন পেটের ভেতর প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হয়। কিন্তু বিছানা ছেড়ে উঠে যেতে আলস্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মনে হতে পারে, ‘আর ৫ মিনিট শুয়ে নেই, কোনো সমস্যা নেই।’ কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই ছোট্ট অভ্যাসই কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাদের দাবি, দিনের পর দিন যদি এটি অভ্যাস হয়ে যায়, তবে কিডনি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
চলুন তাহলে জেনে নিই, কিডনি ভালো রাখতে কোন অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. ঘুম থেকে উঠে পানি না খাওয়া
রাতে খাবার খাওয়ার পর থেকে সকাল হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণের বিরতি থাকে। শরীর এবং কিডনি প্রায় পানিশূন্য অবস্থাতেই থাকে গোটা রাত। তাই শরীরকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হলে দিনের শুরু করতে হবে পানি খেয়ে। অনেকেই ব্রাশ করে খালি পেটে চা-কফির মতো গরম পানীয়ে চুমুক দিতে পছন্দ করেন। তাতে কিন্তু শরীর আরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে। একইসঙ্গে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
২. প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকা
ঘুমে ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, তাই প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকেন অনেকে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই অভ্যাস কিন্তু কিডনির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। সারা রাত ধরে মূত্রাশয়ে প্রস্রাব জমে থাকার ফলে এমনিতেই তা স্ট্রেচ করে বড় হয়ে যায়। ঘুম ভাঙা মাত্রই মস্তিষ্ক সঙ্কেত পাঠায় তা খালি করার। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকলে উল্টো হিতে বিপরীত হওয়ার ভয়ই বেশি।
৩. খালি পেটে পেনকিলার খাওয়া
ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির জন্য ক্ষতিকর। চিকিৎসকরা বলছেন, সেই ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণে বেড়ে যায় যদি তা খালি পেটে খাওয়া হয়। পেনকিলার ওষুধের ডোজ নির্ভর করে রোগীর বয়স, ওজন এবং ব্যথা-যন্ত্রণার তীব্রতা এবং প্রকারভেদের উপর। তা ছাড়াও রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই এই জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একেবারেই খাওয়া যায় না।
৪. শরীর আর্দ্র না রাখা
শরীরচর্চা বা পরিশ্রম করলে ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণে পানি এবং খনিজ বেরিয়ে যায়। তাই শরীরচর্চার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই শরীরে পানির জোগান দেওয়া জরুরি। কারণ, কিডনি থেকে টক্সিন দূর করতে এবং ডিহাইড্রেশন-জাতীয় সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে এই পানি।
৫. জলখাবার না খাওয়া
তাড়াহুড়োর চোটে অনেকেই সকালের জলখাবার খান না। এই অভ্যাসটিও কিন্তু কিডনির জন্য খারাপ। দিনের শুরুতে অর্থাৎ, সকালের জলখাবারে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ব্যালান্সড ডায়েট থাকলে শরীর সব রকম পুষ্টি পায়। কাজেও এনার্জি আসে। আবার, কিডনির ওপর আলাদা করে কোনো রকম চাপ পড়ে না।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন