ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যবসা আর চলবে না। ইসলাম কোনো রাজনৈতিক বাক্স নয়। যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করতে চায়, তাদের ভোটের মাধ্যমেই প্রতিহত করতে হবে।
গতকাল বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন সার্বজনীন দুর্গামন্দির পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান।
বিএনপির পথচলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির ইতিহাস হলো সংস্কারের ইতিহাস। যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে দলটি সবসময় মানুষের প্রত্যাশাকে ধারণ করেছে। একটি দল বা গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে, যদিও তাদের এই প্রচেষ্টা বাস্তবসম্মত নয়।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম নিয়ে কোনো ব্যবসাই এই দেশে আর চলবে না। জনগণ এখন সচেতন, তারা কোনো ‘চেতনা ব্যবসায়ী’ বা ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’কে প্রশ্রয় দেবে না। জান্নাতের টিকিট বিক্রির নামে মানুষকে প্রতারণা করার চেষ্টাও ব্যর্থ হবে।
সেলিমুজ্জামান বলেন, আজকের সংস্কারের জনক হচ্ছেন তারেক রহমান। তার ঘোষিত ৩১ দফাই প্রকৃত সংস্কার। আমরা সেগুলোকে সিলগালা করিনি। নতুন যৌক্তিক প্রস্তাব এলে তাও যুক্ত করা হবে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সেলিমুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি বিশ্বাস করি, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ সময় কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তফা মোল্লার, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সাগর মজুমদার, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, যুবদলের আহ্বায়ক মুনশী মো. এনামুল হক শিমুল, সদস্য সচিব মো. আরিফুল ইসলাম পাবেল, উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন খান, ছাত্রদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দিন অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফোরকান শরীফ টিটো, সদস্য সচিব মো. মিলন খানসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন