ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩২ পিএম
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেসেঞ্জারে পাঠানো সালামের উত্তর দেওয়া কি ওয়াজিব?

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

সালাম শান্তির সোপান। ইসলামী অভিবাদনের এক অনিন্দ্য কথন। সালাম অন্তরে প্রশান্তির জন্ম দেয়। কল্যাণ বয়ে আনে। দাম্ভিক আত্মাকে পবিত্র করে তোলে। অহংকার থেকে মুক্তি দান করে। পরস্পর পরস্পরে সৃষ্ট বিদ্বেষ বিদূরিত করে। সালামের মাধ্যমে একে অপরের শান্তি কামনা করা হয়। এতে করে মানুষে মানুষে হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। সমাজে অনাবিল সুখ-শান্তি আর ভালোবাসা বিরাজিত হয়।

হাদিস শরিফে এসেছে, যখন একজন মুসলমান অন্য মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে সালাম ও মুসাফাহা করেন, তখন আল্লাহতায়ালা তাদের বিদায় নেওয়ার আগেই উভয়ের গুনাহ মাফ করে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন সালামের সর্বোত্তম অনুসরণকারী। ছোট-বড় সবাইকে তিনি নিজে এগিয়ে গিয়ে সালাম দিতেন। তার এই আমল আমাদের জন্য এক অনন্য আদর্শ।

নবীজি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা প্রকৃত ইমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা গড়ে না ওঠা পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত ইমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন একটি কাজের কথা বলব না, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসতে লাগবে? (কাজটি হলো) তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালাম প্রচার কর।’ (তিরমিজি : ২৬৮৮)

সালামের কথা সামনে আসতেই অনেকেই জানতে চান, ‘মেসেঞ্জার, কমেন্ট বা এজাতীয় কোনো মাধ্যমে কেউ সালাম দিলে তার সালামের উত্তর দেওয়াও কি ওয়াজিব?’

এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ইসলামি শরিয়ত মতে সালাম দেওয়া সুন্নত। কিন্তু সালামের উত্তর যথাযথভাবে উচ্চারণ করে এবং সালামদাতাকে শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদেরকে যখন অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম প্রত্যাভিবাদন করবে অথবা তার অনুরূপ করবে। (সুরা নিসা: ৮৬)

আহমাদুল্লাহ জানান, এ আয়াতে ‘অভিবাদন’ বলে সালাম উদ্দেশ্য। আয়াতের মর্ম হলো কেউ সালাম দিলে আরও উত্তম শব্দে সালামের জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ সালামের কোনো বিশেষ ধরনকে নির্দিষ্ট করেননি। তাই সরাসরি সালাম দিলে যেমন সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব, কেউ মেসেজে লিখে সালাম দিলে ওই সালামের উত্তর দেওয়াও ওয়াজিব। অতএব মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি মেসেজিং অ্যাপে কেউ সালাম দিলে তার সালামের জবাব দিতে হবে।

মাসিক আল কাউসারে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ক্ষেত্রে সালামের জবাব তাকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয়। এমনকি জবাবের জন্য তাকে পাল্টা উত্তর লেখা বা ফোন করে জানানোও জরুরি নয়। কেবল মুখে জবাব দিয়ে দিলেই হয়ে যাবে। (ফয়জুল কাদির : ৪/৩১, রদ্দুল মুহতার : ৬/৪১৫)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময়  

গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজের নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বান জামায়াতের

নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ শিকারে জেলেদের ‘গোপন’ প্রস্তুতি

বিমানবন্দরে ২ বিমানের সংঘর্ষ

তামিমের অভিযোগ ও বিসিবি নির্বাচন নিয়ে যা বললেন সাকিব

চালুর আগেই চুরি হচ্ছে ট্রমা সেন্টারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

কুকুর কামড়ানোর পর প্রথম ১৫ মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক কী কী করবেন?

ছারপোকা মারার ওষুধের বিষক্রিয়ায় যুবকের মৃত্যু

এক মোটরসাইকেলে ৩ বন্ধু, ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুজনের

বিজয়া দশমীতে ছাত্রদল নেতা তারিকের ভিন্নধর্মী কর্মসূচি

১০

নওগাঁয় মণ্ডপে মণ্ডপে ‘সিঁদুর খেলা’, সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন

১১

টস ভাগ্যে হেরেছে বাংলাদেশ, ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

১২

কাপ্তাই হ্রদে সেনাবাহিনীর সফল উদ্ধার অভিযান

১৩

মারা গেলেন পণ্ডিত চন্নুলাল মিশ্র

১৪

যে একাদশ নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ

১৫

মরক্কোতে পুলিশ স্টেশনে আগুন দিল জেন-জিরা, গুলিতে নিহত ২

১৬

বৈরী আবহাওয়াতেও পর্যটকদের বাঁধভাঙা উল্লাস

১৭

প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ইনকাম হালাল হবে?

১৮

মুগদায় মাদকবিরোধী অভিযানে হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০

১৯

এখন আমি অনেক ভেবে-চিন্তে কাজ করি : পরী

২০
X