জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবিত ৫০টি প্রতীক থেকে কোনোটি গ্রহণ না করে ‘শাপলা’ প্রতীকেই অনড় অবস্থান জানিয়েছে। কমিশনের তালিকায় থাকা প্রতীকগুলো থেকে একটি বেছে নিতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় পেলেও দলটি জানিয়েছে, তারা ফের ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এনসিপির পক্ষ থেকে পুনরায় শাপলা প্রতীক চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান দলের যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ইসির দেওয়া ৫০টি প্রতীক থেকে আমরা কোনোটি গ্রহণ করব না। আমরা আবারও শাপলা প্রতীক চেয়ে কমিশনে চিঠি দেব।
এর আগে, দলটি ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন উল্লেখ করে। পরে তা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা চাওয়া হয়। তবে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় এই প্রতীকগুলো না থাকায় কমিশন তা বাতিল করে।
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮-এর ৯(১) ধারা অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলগুলোকে নির্ধারিত প্রতীক তালিকা থেকে একটি প্রতীক বেছে নিতে হয়। সেখানে শাপলা প্রতীক না থাকায় এনসিপিকে বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে বলা হয়।
কমিশনের তালিকায় থাকা ৫০টি প্রতীকের মধ্যে রয়েছে : খাট, থালা, বালতি, বেগুন, আলমিরা, কাপ-পিরিচ, মোবাইল ফোন, কলম, বাঁশি, টেবিল, ফ্রিজ, হাঁস, হরিণ, হেলিকপ্টার, টিউবওয়েল, দোলনা, ফুটবল, প্রজাপতি, শঙ্খ, মাইক, সোফা, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক পাখা ইত্যাদি। তবে এসব প্রতীক প্রত্যাখ্যান করে এনসিপি আবারও শাপলা প্রতীকের দাবিতে অনড় রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণমাধ্যমকে জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে তালিকাভুক্ত ১১৫টি প্রতীকের মধ্যে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা— কোনোটিই নেই। তাই এই প্রতীকগুলো বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন