নারায়ণগঞ্জে মৌমিতা বাসের ধাক্কায় মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার জেরে সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিং রোডের জেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মোজাম্মেল হক (৫৫) ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার বসতগাঁও এলাকার অটোরিকশাচালক আনিসুর রহমান (৩৮) ও জয়পুরহাটের নিক্তিপাড়ার তমিজউদদীন প্রামাণিকের ছেলে রানা বাবু (৪০)।
আটক বাসচালকের নাম রুবেল (২৪) ও হেলপার নাঈম শেখ (২৫)।
জানা গেছে, বাসের ধাক্কায় একজন নিহত ও দুজন আহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। একপর্যায়ে বাসচালক ও তার সহযোগীকে গণপিটুনি দিয়ে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এতে করে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। বাসচালক ও তার সহযোগীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মোজাম্মেল হক নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত আরও দুজন চিকিৎসাধীন আছেন। মারধরে আহত বাসের চালক ও হেলপারকেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস সড়কে অপেক্ষমাণ দুটি অটোরিকশাকে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে মোজাম্মেল হক নামে একজন নিহত, আনিসুর রহমান ও রানা বাবু নামে দুজন অটোরিকশাচালক গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা বাসচালক ও হেলপারকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত চারজন জেলা শহরের খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তব্য করুন