

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা একটা ভীষণ জাতীয় সংকটের মধ্যে আছি। দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে। তিনি জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেউ যাতে ঐক্যে কোনোভাবে ফাটল ধরাতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
রাজনৈতিক দল হিসেবে এক দশক পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সাকি এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন শাহবাগ থেকে কাটাবন, হাতিরপুল, বাংলামোটর, মগবাজার, ওয়্যারলেস গেট ও হাতিরঝিল হয়ে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত শোভাযাত্রা করে। এতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহনের পাশাপাশি দলীয় প্রতীক ‘মাথাল’ পরে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।
জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেউ যাতে ঐক্যে কোনোভাবে ফাটল ধরাতে না পারে, সে জন্য আপনাদের সদা প্রস্তুত, সদা সতর্ক থাকতে হবে এবং সদা চেষ্টা করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা এখনো বিপর্যয় কাটিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের মৌলিক সংস্কার দরকার। সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দরকার। আর এ সবকিছু থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে আমাদের নির্বাচন দরকার। আমাদের দরকার গণভোট; একই সঙ্গে দরকার সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে হবে।
জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনার আমলে ভারত বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে; কিন্তু জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম মর্যাদায় দাঁড়াবে। আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই, কিন্তু মাথা নত করে নয়। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে প্রয়োজনে আবারও রক্ত দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্টরা ঘৃণা, বিভাজন, নানা রকম ট্যাগিং করে তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছে। একদল ওই ঘৃণা, বিভাজন এবং ট্যাগিংয়ের পলিটিকস (রাজনীতি) করে আরেকটা জবরদস্তিমূলক শাসন কায়েম করতে চায়। অভ্যুত্থান পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে, এক ফ্যাসিবাদের বদলে অন্য কোনো জবরদস্তি বাংলাদেশের মানুষ সহ্য করবে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার। সমাবেশ ও মাথাল র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, মনির উদ্দীন পাপ্পু, হাসান মারুফ রুমী, বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।
মন্তব্য করুন