বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান দাবি করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। কারণ, বেগম জিয়া গণতন্ত্রের কথা বলেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।
মঈন খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি দলের প্রধান নন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি গণতন্ত্রের মাতা। গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, এখনও সংগ্রাম করছেন। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ।
এ সময় তিনি খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জোর দাবি জানান।
বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার মধ্যে নয়াপল্টনের সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হক, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে ছড়াকার আবু সালেহ তার লেখা ছড়া ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা’ আবৃত্তি করে শোনান।
মন্তব্য করুন