পাড়া-মহল্লায় আগুনসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সরকার তাদেরই গ্রেপ্তার করছে যারা আগুনসন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত, হুমুকদাতা-অর্থদাতা-নির্দেশদাতা আয়োজনকারী। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নাই। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে কিন্তু জীবন্ত পোড়ায় নাই, এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে যেমন পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল, আজকে এদের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে গণপ্রকৌশল দিবস ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ’র (আইডিইবি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বাসসের।
‘উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
এ সময় আইডিইবি ভবন প্রাঙ্গণে রাখা বিএনপির সমাবেশ-অবরোধে পুড়িয়ে দেওয়া দু’টি বাসের ধ্বংসাবশেষের কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাসীরা আসলে রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাচ্ছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের একটির প্রধান হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। তার বাড়িতে হামলার অর্থ বিচার বিভাগের ওপর হামলা। জাসেস কমপ্লেক্সে, পুলিশ হাসপাতালে এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই আইডিইবি ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে। এটি পেশাজীবীদের সংগঠন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন আওয়ামী লীগও না, বিএনপিও না। এখানে কেন হামলা চালাল এটি আমার বোধগম্য নয়।’
বিএনপির সাথে বিদেশিদের সম্পর্ক নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মনে করেছিল তাদের যারা একটু বাতাস দিচ্ছিল, তারা বাতাস দিতে দিতে দোলনায় চড়িয়ে শিশুদের মতো ফিডার খাইয়ে ক্ষমতার দোলনায় চড়িয়ে দেবে। কিন্তু যারা সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজেই পালিয়ে যায় তাদের কেউ আর বাতাস দেবে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী যখন পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করছে, শিশু হত্যা করছে, মঙ্গলবারও ৬শ’ জনকে হত্যা করেছে, এর বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে প্রতিবাদ হচ্ছে। শুধু বিএনপি-জামায়াত একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের কথোপকথনে ফখরুল সাহেব বলছেন, গাজায় যেভাবে হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে তাতে কিছু বলার দরকার। আর তারেক রহমান পরামর্শ দিচ্ছে গাজা অনেক দূরে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়ে আছি, এটা নিয়ে বলার দরকার নাই, কারণ কেউ নাখোশ হবে।’
মন্তব্য করুন