কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা কোন আইনে : রিজভী

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

‘বিএনপি নির্বাচন বানচালে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এহেন বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। ওবায়দুল কাদেরকে ‘মিথ্যা কথা বলার শাহেন শাহ’ আখ্যা দিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, উদ্ভট এবং অসংলগ্ন অপপ্রচারের যদি কোনো মহাবিদ্যালয় করা যায় তাহলে তার প্রিন্সিপাল করা যেতে পারে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে।

শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আগামী সোমবারের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা না মানলে না কি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার প্রশ্ন এই সরকারের দলদাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা কোন ক্ষমতা বলে ও কোন আইনে? সংবিধানের কোন ধারা বলে দিয়েছে? একটা নীলনকশার পাতানো নির্বাচন নির্বাচন খেলাকে সুরক্ষা দিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে পরিপত্র জারি করেছে তা সম্পূর্ণরূপে একাধারে অনৈতিক, অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি। এটা জনগণের মৌলিক অধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।

রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন শপথগ্রহণ করেছে সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য। শুধু জরুরি অবস্থা জারির সময় সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ ধারা সমূহের কতিপয় বিধান অর্থাৎ মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যায়। বর্তমানে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় নাই। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই মৌলিক অধিকার স্থগিতকরণের কোনো কর্তৃপক্ষ প্রজাতন্ত্রের নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই পরিপত্র সরাসরি সংবিধানের ৩১-৪১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। আমার প্রশ্ন হলো আগামী ১৮ তারিখ হতে জরুরি অবস্থা জারি হতে যাচ্ছে কি না? কারণ সংবিধানের উল্লিখিত অনুচ্ছেদ শুধু জরুরি অবস্থা অথবা মার্শাল ‘ল’ চলাকালে স্থগিত থাকে। দেশে কি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বা সংবিধান স্থগিত রাখা হয়েছে। মার্শাল ‘ল’ তো ভিন্ন; তার সাথে সংবিধানের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু জরুরি অবস্থা কিছুই নাই। তাহলে কোনো অজুহাতে নির্বাচন কমিশন বা সরকার নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার স্থগিত রাখতে পারে না। দেশের জনগণ সংবিধান পরিপন্থি কোনো নিষেধাজ্ঞা মেনে নেবে না। তাই বলব, অনতিবিলম্বে এই বেআইনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কী হাস্যকর আজগুবি বয়ান! আসলে তারা পুলিশকে দিয়ে পরিকল্পনা মতো বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নিজেদের তৈরি করা নাশকতার মাত্রা বাড়াতে চায়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ জানে, ছাত্রলীগ-যুবলীগ আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিটি এলাকায় অস্ত্রে ডিপো বানিয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের রুটি রুজির সংগ্রাম রুখতে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিচ্ছে।

রিজভী বলেন, বিএনপিসহ সকল বিরোধীদল আন্দোলন করছে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ও দেশকে বাকশাল থেকে গণতন্ত্রে ফেরানোর জন্য। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। বিএনপি সন্ত্রাস সহিংসতা নাশকতার বিরুদ্ধে। যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত হয়েছে সন্ত্রাস সহিংসতা নাশকতার একচেটিয়া কৃতিত্ব বা পেটেন্ট আওয়ামী লীগের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

২০ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

অ্যাকাউন্টস বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে ইবনে সিনা

২০ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের দুইজন নিহত, আহত ৪

ফেনসিডিলসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন সাংবাদিক সম্পদ

দুর্নীতিবাজদের বর্জন করুন, জনগণের ভরসা হতে চাই : শাকিল উজ্জামান

১০

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১১

টাকা বাঁচাতে লেভানদোভস্কিকে গোল করতে মানা করেছিল বার্সা!

১২

মুক্তিযুদ্ধকে বিএনপির মতো অন্য কোনো দল ধারণ করে না: শামা ওবায়েদ

১৩

মুশফিকের শততম টেস্টে হামজার বিশেষ বার্তা

১৪

ভারতকে হারিয়ে ফিফা থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ

১৫

রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের কবলে বিচারক, খোয়ালেন মোবাইল-চশমা

১৬

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ছোট কাজে বড় অনিয়ম

১৭

লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল / ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা পাবে দুই বিদেশি কোম্পানি

১৮

রামপুরায় বাসে আগুন

১৯

যুবদলের পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

২০
X