জনগণ প্রত্যাখ্যান করায় ‘ডামি’ নির্বাচনে সরকারের নৈতিক পরাজয় ঘটেছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন তারা।
জেএসডির শীর্ষ নেতারা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ছিল সরকারের ক্ষমতা নবায়নের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতাহীন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন তামাশাপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। একতরফা নির্বাচনে দিনব্যাপী ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারের অভাবে খাঁ খাঁ করছিল। শত ভয়-ভীতি, প্রলোভন ও সরকারের আহ্বান উপেক্ষা করে ভোট প্রদান না করার মাধ্যমে জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ প্রায় সকল আসনে প্রকৃত ভোটের চেয়ে অতিরিক্ত সংখ্যায় ভোট প্রদানের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা দাবি করেন, প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অতি স্বল্পসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণে ‘সরকারের নৈতিক পরাজয়’ ঘটেছে।
জেএসডির শীর্ষ নেতারা আরও বলেন, নির্বাচনে জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে ভোটার সংখ্যা বাড়ানোতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকার একটি স্বাধীন দেশের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছে এবং প্রজাতন্ত্রের জনগণের ওপর কলঙ্ক লেপন করেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সরকার ভয়াবহ অন্যায় করার পরও বিজয়ের গৌরব উদযাপন করছে, আত্মগরিমা প্রকাশ করছে- যা সরকারের অধঃপতিত মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ। ক্ষমতা ধরে রাখার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা এবং ভোটার অংশগ্রহণকে বাড়িয়ে দেখানোই স্বৈরাচারের অপকৌশল। বিশ্বের সকল স্বৈরশাসকই জনগণের ‘সম্মতি ও সমর্থনের’ প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা করে নির্বাচনে জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে, বর্তমান সরকারও তার ব্যতিক্রম নয় বরং অন্যতম দৃষ্টান্ত।
তারা বলেন, এই প্রহসনমূলক নির্বাচন দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সুতরাং ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘ডামি সরকার’ গঠনের ডামাডোল না বাজিয়ে সরকারের পদত্যাগ করাই হবে আশু সংকট সমাধানের উত্তম পদক্ষেপ।
মন্তব্য করুন