বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার আর মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেট এখন একাকার। এদের দুইয়ের অশুভ আঁতাত দেশের মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় মুষ্টিমেয় বাজার সিন্ডিকেট এখন বাজারের ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিদিন মানুষের পকেট থেকে এরা হাজার হাজার কোটি টাকা বাড়তি হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন, চারটি অতি জরুরি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হলেও বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। সরকারি তৎপরতা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন- সরকারি পদক্ষেপ অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজে আসছে না। তাহলে আর সরকারের দরকার কী।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির পার্টি সদস্যদের সভায় এসব কথা বলেন সাইফুল হক। দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাইফুল হক বলেন, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতে চুরি, দুর্নীতি, লুণ্ঠন এবং সরকারের ভুলনীতির খেসারত দিতে বিদ্যুতের আর একদফা দাম বাড়িয়ে এখন জনগণকে শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের আমদানিনির্ভর জ্বালানি নীতি বিদ্যুৎ সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন করে সরকার এই খাতে দুর্নীতি ও লুণ্ঠন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সংকটের গোড়ায় হাত না দিয়ে সরকার দাম সমন্বয়ের নামে বাস্তবে দেশের মানুষকে নতুন ভোগান্তির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা না থাকায় বাজার, জ্বালানি, ব্যাংকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। এই সরকারকে বিদায় দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে ফেরাতে না পারলে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করা যাবে না। তিনি দ্রুত ‘ডামি সরকার’ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করতে পার্টির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, জেলা কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, শহীদুল আলম নান্নু, সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান আংগুর মিয়া, আইয়ুব আলী, মোহাম্মদ আলী, আবুল হোসেন, মুক্তার হোসেন, খোকন রাজ, স্বাধীন মিয়া, আবুল কালাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন