বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেছেন, আজ মানুষ বাজার করতে পারে না, কথা বলতে পারে না। সরকার একবার শুল্ক বাড়িয়ে আমদানি কমিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে, আবার মজুতদারি করে দাম বাড়াচ্ছে। যারা এ সমস্ত ব্যবসায় জড়িত সবাই সরকারের মদদপুষ্ট গোষ্ঠী।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টির উদ্যোগে গণ ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে এবি পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক।
সাইফুল হক বলেন, আমলা আর পুলিশ দিয়ে সরকার জনগণের ভোটাধিকার লুট করার কারণে সরকারি কর্মকর্তারাও দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত। এ সরকার এখন গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে, বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে, আর জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির জন্য বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল সমুহের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, একটি দেশের নাগরিকদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, সরকারের। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আজ সকল অধিকার হারা। শেষ পর্যন্ত এ দেশের মানুষ ভোটের অধিকার থেকেও বঞ্চিত। আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। আপনারা সবাই সচেতন হোন, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জানুন। আমরা আপনাদেরকে আপনাদের অধিকার সম্পর্কে জানাচ্ছি। আপনারা সচেতন হলে, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে বুঝতে পারলে কেউ ঠকাতে পারবে না। অধিকার হরণ করতে পারবে না।
গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুর রব জামিল, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সদস্যসচিব আশরাফুল নির্ঝর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, সুলতানা রাজিয়া, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, শীলা আক্তার, যুবনেতা মাহমুদ আজাদ, মিঠু, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানার সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন