কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আহ্বান খেলাফত মজলিসের

খেলাফত মজলিসের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
খেলাফত মজলিসের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের যৗথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজকে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজার যে ন্যক্কারজনক গণহত্যা চালাচ্ছে তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু সরকার কারও কথায় কর্ণপাত করছে না। এমনকি যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের রেজুলেশনেরও তোয়াক্কা করছে না।

সম্প্রতি গাজার প্রায় ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলের এ বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের এ নৃশংস গণহত্যা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

আজ রোববার (৭ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য পরম আনন্দের দিন, জাতীয় সাংস্কৃতিক চেতনার প্রধান দিন। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করার পর এ দিনটি আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আসে। ঈদুল ফিতর আমাদের রুচিশীল ও মননশীল সংস্কৃতির শিক্ষা দেয়। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জীবনে শুধু আনন্দ উৎসবই নয় বরং এটি একটি মহান ইবাদত। যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা পায়। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, ছোট-বড় সব ভেদাভেদ ভুলে যায়। এদিন ঈদ জামায়াতে শামিল হয়ে মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়ায় নুয়ে পড়ে। তাই ঈদের দিন প্রয়োজন মহান আল্লাহর কাছে আমাদের নিজেদের এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। সাথে সাথে অসুস্থ ও অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করা। ঈদের দিন হোক নির্মল আনন্দের দিন।

তারা আরও বলেন, এবারের রমজান ও ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে বাংলাদেশে হাহাকার বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের বেহাল দশা। দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমশই সংকটাপন্ন হয়ে যাচ্ছে। চারদিকে দুর্ভিক্ষের আলামত লক্ষ করা যাচ্ছে। রাজধানীতে ভিক্ষুকের ঢল এ আলামতের ছোট নমুনা। দেশ ও দেশের জনগণ আজ ঋণে জর্জরিত। সরকারকে আবার ঋণ করে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ অবস্থায় ঈদ আনন্দে সকলে যাতে শরিক হতে পারে সামর্থবানদের সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

খেলাফত মজলিসের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণে দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আজ পদদলিত। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও আজ হুমকির সম্মুখীন। পার্শ্ববর্তী দেশের হস্তক্ষেপে সরকার গঠনে এ দেশের জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটছে না। ভারত সীমান্তে বিডিআরসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। পার্বত্য অঞ্চল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বান্দরবানে মসজিদ থেকে অপহরণ, দিনে দুপুরে ব্যাংক ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপতৎপরতা রোধে সরকার ব্যর্থ। বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আলেম-উলামাদের ওপর পরিচালিত জেল-জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা বন্ধ ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানসহ সার্বিক সংকট উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নেতৃদ্বয় আরও বলেন, যুদ্ধ বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের জাতিগত নির্যাতনের শিকার হয়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নাগরিক অধিকার দিয়ে আরাকানে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের কোনো সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশকে এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিন, আরাকানসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সকল নির্যাতিত মানুষের মুক্তি কামনা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসাপ্রধানদের জন্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা

বরাদ্দ পেল বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

একদিনের সফরে কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে বয়সের আগেই শিশুকে ৮ শিক্ষা দেওয়া জরুরি

দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা প্রধান শিক্ষকের, তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রাম-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী মিল্টন ভুঁইয়া

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার ৮ কৌশল

বাড়ির আঙিনায় বিষধর পদ্মগোখরা, অতঃপর...

১০

মোবাইল দিয়েই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ছবি তোলার ৫ কৌশল

১১

বরইতলা নদীর ‘বাঁধ’ এখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর

১২

ইস্পাত খাতে বিশেষ তহবিল চান ব্যবসায়ীরা

১৩

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগ্রহী পাকিস্তান

১৪

উপকূলজুড়ে টানা বৃষ্টিপাত, জনজীবনে দুর্ভোগ

১৫

উমামা-সাদীর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

১৬

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩১১ জন

১৭

ডাকসু নির্বাচন / ডাকসু ভোটারদের মির্যা গালিবের ৩ পরামর্শ

১৮

বাংলাদেশি সন্দেহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারধর

১৯

মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কান্না করলে কি কবরে আজাব হয়?

২০
X