বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানুষ এখন প্রকাশ্যে কান্না করতে ভয় পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল।
রিজভী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের প্রতি যে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন এটি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতারা হাজার রকম চেষ্টা করেও মুছে ফেলতে পারেনি। নিজে অর্জনগুলো করেছেন সেই অর্জনগুলো আওয়ামী লীগ নেতাদের নেই। ওদের নেই বলেই ওরা অপপ্রচার করে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের ছেলেকে ধরে এনে বিচারক বানানো হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, উচ্চতর আদালত আগাম জামিন দেন, নিম্ন আদালত সেটিকে বাতিল করে গণতন্ত্রের নেতাদেরকে কারাগারে পাঠান। সরকারের নিপীড়নের একটা প্রক্রিয়া। এটা কোনো আইনি প্রক্রিয়া না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, ছাত্র রাজনীতি করেছি, তখন কিন্তু উচ্চ আদালত জামিন দিলে নিম্ন আদালত তা বাতিল করেনি। সরকার বোঝাতে চাচ্ছে কোর্ট কত নিরপেক্ষ, জামিন দিয়েছে।
কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই কোটার নামে সব ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাদের সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। এটাই এই রায়ের অন্তর্নিহিত। মেধাবী ছাত্ররা চাকরি পাবে না।
সরকার তার নিজের আইনজীবী দিয়েই হাইকোর্টে রিট করিয়েছিলেন। দেশের কোমলমতি তরুণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে বাধ্য হয়েছিলেন সরকার। কিন্তু গতকাল হাইকোর্টের রায় দিয়েছে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল রাখতে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা তারা নিজেরাই উপেক্ষা করে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষের ভরসাস্থল বিচার বিভাগ। সেখানে আশ্রয় পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই পুলিশ আজ বেপরোয়া।
সংগঠনের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন