

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) বৈশ্বিক পোশাক শিল্পে অসাধারণ অবদান, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং টেকসই উন্নয়নে অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট কর্তৃক দুটি মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা অর্জন করেছে। এই সম্মাননা বাংলাদেশের নৈতিক, উদ্ভাবনী এবং উচ্চমানের পোশাক উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতৃত্বের যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি সাইটেশন প্রদান করা হয় ২০২৫ সালের চতুর্থ নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড চেম্বার এক্সপো-তে বিজিএমইএর অনন্য অংশগ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ। এ মেলা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারের ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ-ইউএসএ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিইউসিসিআই) এবং নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার ইনক।
নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট সার্টিফিকেট অব রিকগনিশন, যা স্বাক্ষর করেন সিনেটর লুইস আর. সেপুলভেদা (৩২তম সিনেট জেলা), বিজিএমইএ’র দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি বৈশ্বিক পোশাক খাতে টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চা প্রচারে অবদানের স্বীকৃতি দেয়। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান উপস্থিত ছিলেন এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননাটি গ্রহণ করেন।
মেলার উদ্বোধন করেন মিস কেলি লফলার, ইউএস স্মল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (SBA)-এর প্রশাসক, যিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এক্সপো উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের অফিসের দিলিপ চৌহান, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক জাফে, ফ্লোরিডার মেয়র ডেভিড ডিউই, বিশ্বের বৃহত্তম ফ্যাশন টেলিভিশন নেটওয়ার্কের নির্বাহী প্রযোজক ভিক্টোরিয়া ম্যাকডুগাল, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিভিউ-এর চেজারে কোস্টান্তিনি, এবং সোসাইটি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক রিভিউ-এর প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রবীণ জাতিসংঘ সংবাদদাতা গ্লোরিয়া স্টার কিনস, যিনি একটি বিশেষ অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
নিউইয়র্ক স্টেটের এই দ্বৈত সম্মাননা বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) খাতকে টেকসই, নৈতিক উৎপাদন ও উদ্ভাবনের বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে।
বিজিএমইএ নেতৃত্ব নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি, সিনেটর লুইস আর. সেপুলভেদা এবং আয়োজক সংগঠনগুলোর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই সম্মাননা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন। সংগঠনটি পুনরায় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যে, তারা টেকসই উন্নয়ন, নৈতিক সোর্সিং এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে আরও শক্তিশালী ও বিশ্বমানের স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর- যে মূল্যবোধের ভিত্তিতে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক ও বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পের এক বিশ্বস্ত অংশীদার।
মন্তব্য করুন