মালয়েশিয়া সরকার দেশটিতে বিদেশি কর্মীদের ঘাটতি পূরণে জেলে থাকা সাজা শেষ হওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিতে চায়। সংসদে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ভি. শিবকুমার বলেন, সাজা শেষ হওয়া অভিবাসীরা, বিশেষ করে যারা ছোটখাটো অপরাধের জন্য সাজা ভোগ করেছেন তারা এখনো কাজ করতে পারবেন।
মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, আমরা এসব সাজা শেষ হওয়া অভিবাসী শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে কর্মী সংকট দূর করতে পারি। এ ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তাদের সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার (সকসো) মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
সংসদে আরএসএন রেয়ারের (পিএইচ-জেলুটং) একটি সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয় যে, সরকার সাজা শেষ হওয়া বিদেশি কর্মীদের কাজের সুযোগ দিতে নিয়োগকর্তা এবং কারাগারের মধ্যে সহায়ক হওয়ার পরিকল্পনা করছে কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে সাজা শেষ হওয়া অনেক বিদেশি শ্রমিককেই পুনরায় কাজের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জেলখানায় বন্দিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং যখন তারা বেরিয়ে আসে, তারা কর্মসংস্থানের বাজারে যোগ দিতে পারে।
এদিকে দেশে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা সম্পর্কে দাতুক আওয়াং হাশিমের (পিএন-পেন্ডং) প্রশ্নের উত্তরে শিবকুমার বলেছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২,৭৩০,১৫৩ জন অভিবাসী শ্রমিক। তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ৩০ হাজার ৮২৮ জন সক্রিয় অস্থায়ী ভিসাধারী, ১ লাখ ৫২ হাজার ১৫৮ জনের ভিসা প্রক্রিয়াধীন, যারা এখনো দেশে প্রবেশ করতে পারেনি এবং ৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম ২.০ এর অধীনে নিবন্ধিত করেছে বৈধতার জন্য।
বিদেশি কর্মীদের দ্বারা কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরের শ্রম চাহিদা মেটানো হয়। যা স্থানীয় কর্মীদের মাধ্যমে পূরণ করা কঠিন। তাই সরকার বিদেশি কর্মীদের অধ্যুষিত সেক্টরে কাজ করার জন্য স্থানীয় কর্মীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।
এদিকে মন্ত্রণালয় কারখানাগুলোকে স্বয়ংক্রিয়করণ, যান্ত্রিকীকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছে। যা উচ্চ-দক্ষ কর্মীদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং ধীরে ধীরে স্বল্প-দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন