কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ০২:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আরাফার রোজা কয়টি?

আরাফার ময়দানে হাজিরা। ছবি : সংগৃহীত
আরাফার ময়দানে হাজিরা। ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ঈদের তারিখ ঘোষণা করেছে এসব দেশ। এ মাসটির সঙ্গে জড়িত ইসলামের অন্যতম বিধান হজ। আর হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান আরাফায় অবস্থান। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদিন রোজা পালন করেছেন। এ বিষয়ে রোজা পালনে ইসলামের নির্দেশনাও রয়েছে।

আরাফা মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো চেনা, জানা, পরিচয় হওয়া। দুনিয়ায় প্রেরণের পর আরাফার দিনে হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পরস্পরের দেখা হয়। এ দিনটি তওবা করা বা ক্ষমা প্রার্থনার দিবস। ইসলামের ঐতিহাসিক এ ময়দান হাশরের দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দিবসটিতে মহান আল্লাহ তার ক্ষমা, রহমত ও দয়া উপস্থাপন করেন।

জিলহজ মাসের ৯ তারিখকে ইওমে আরাফা তথা অরাফার দিন বলা হয়। এদিন হাজিরা এ ময়দানে হাজির হন। চলতি বছর সৌদিতে ৫ মে আরাফার ময়দানে হাজির হবেন। আর সৌদির বাইরে অন্য দেশের মুসলমানরা জিলহজের চাঁদ ওঠা সাপেক্ষে নিজ দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ৯ জিলহজ রোজা রাখবেন।

হাদিসে আরাফার দিবসে একটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। এ দিন রোজা রাখলে মহান আল্লাহ বান্দার দুই বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরাফাতের দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম : ১১৬২) অপর এক হাদিসে বলা হয়েছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী বর্ণনা করেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৯ জিলহজ তারিখে রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ : ২৪৩৭) আরাফার দিবসে একটি রোজা হলেও জিলহজ মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার প্রচলন রয়েছে। এর ফলে আরাফার দিবসের রোজা যেমনি আদায় হবে, তেমনি অনেক সওয়াব ও ফজিলত হাসিল করা যায়। মহান আল্লাহ সুরা ফজরের ২ নম্বর আয়াতে দশ রাতের কসম করে বলেন,

وَ الۡفَجۡر- وَ لَیَالٍ عَشۡرٍ উচ্চারণ : ওয়াল ফাজর ওয়ালায়ালিন আশর। অর্থ : শপথ ফজরের এবং শপথ দশ রাতের।

অধিকাংশ তাফসিরকারকদের মতে, আলোচ্য আয়াতে দশ রাত বলতে জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাত উদ্দেশ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ যখন কোনো বিষয়ে কসম খান তখন এ বিষয়টি নিঃসন্দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের নেক আমল আল্লাহর নিকট যত প্রিয়, আর কোনো দিনের আমল তত প্রিয় নয়। সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, আল্লাহর পথে জিহাদও কি এর চেয়ে প্রিয় নয়? তিনি বললেন, না, আল্লাহর পথে জিহাদও এ দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে প্রিয়তর নয়। তবে ওই ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে নিজের প্রাণ ও সম্পদ নিয়ে জিহাদে বেরিয়ে যান এবং কোনো কিছু নিয়ে আর ফিরে আসেন না। (বোখারি : ৯৬৯)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নদীতে ডুবে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের

নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, অভিযুক্তকে যে শাস্তি দিল এলাকাবাসী

কার্টনের ভেতর পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত পা

‘আইনে অনুমোদিত টাকার বাইরে এক টাকা খরচ করব না’

ফিশিং বোটে মিলল ৩৭৫ বস্তা সিমেন্ট, গন্তব্য ছিল মিয়ানমার

ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ 

ফুটবল ও ক্রিকেট, দুই বিশ্বকাপেই খেলবে যেসব দেশ

চুল পড়া আর খুশকির সমস্যা বাড়াচ্ছেন নিজের ৬ অভ্যাসে

তাসফিনের হাত পুনঃসংযোজন এক বিরল সাফল্য : রিজভী

১০

অভিযানে আটকের পর বহিষ্কৃত যুবদল নেতার মৃত্যু

১১

নির্বাচনে জনগণই তাদের ভোট পাহারা দেবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

১২

কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান সরকার

১৩

১ যুগের নতুন দিগন্তে কুবিসাস

১৪

তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি : আমীর খসরু 

১৫

দুর্যোগ মোকাবিলায় স্কাউটদের ভূমিকা অনন্য : শিক্ষা উপদেষ্টা

১৬

আইজিপি বাহারুলকে বরখাস্তের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আইনজীবীর চিঠি

১৭

নেইমারের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন আনচেলত্তি

১৮

ভারতে আজহারির নামে ‘মাহফিলের’ প্রচারণা, যা জানা গেল

১৯

পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

২০
X