কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের মসজিদে হামলা দাবি করা ভিডিওর সত্যতা মিলেছে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান। ছবি : সংগৃহীত
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান। ছবি : সংগৃহীত

শেরপুরের খাজা বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের দরবারে (মুর্শিদপুর পীরের দরবার) গত ২৬ নভেম্বর প্রথম এবং একই দিন দ্বিতীয় দফায় হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে। এই আবহে একটি মসজিদ ভাঙচুরের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে দাবি করা হয় যে এটা শেরপুরের মুরশিদপুর দরবার শরিফের মসজিদে হামলার দৃশ্য।

তবে ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা ফ্যাক্টওয়াচ এক প্রতিবেদনে জানায়, এই দাবি মিথ্যা এবং এই ভিডিও ভারতের ত্রিপুরার ঘটনা।

ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে মসজিদটি ভারতের ত্রিপুরার কদমতলা বাজার এলাকায় অবস্থিত। মসজিদটি চলতি বছরের অক্টোবরে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যকার এক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়েছিল। সুতরাং ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ওই ভাইরাল ভিডিও মিথ্যা।

তারা আরও বলছে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর উৎস খুঁজে পাওয়ার জন্য শুরুতেই রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে রাহেল আলি নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ভাইরাল ভিডিওর অনুরূপ একটি ভিডিওতে একই মসজিদ দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে উল্লেখ করা হয় মসজিদটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা বাজারে অবস্থিত এবং সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

এই সূত্রে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে ‘Ayan v block Tripura’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিন্ন দিক থেকে ধারণ করা একই ঘটনার আরেকটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়; যা থেকে মসজিদটির প্রবেশমুখ দেখা যায়।

এরপর গুগল ম্যাপের সাহায্যে ত্রিপুরার কদমতলা বাজার এলাকার ২০২৩ সালের জুনের একটি স্ট্রিট ভিউর সাহায্যে মসজিদটিও খুঁজে পাওয়া যায়। জানা যায়, মসজিদের নাম ‘কদমতলা বাজার জামে মসজিদ’। এর মাধ্যমে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে আলোচিত মসজিদটি বাংলাদেশের কোনো মসজিদ নয়।

উল্লেখ্য, শেরপুরের মুরশিদপুর দরবার শরিফে ২৬ নভেম্বর প্রথম দফায় হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে মো. হাফেজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর জেরে দরবারে ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে ত্রিপুরার কদমতলায় দুর্গাপূজার জন্য জোর করে চাঁদা সংগ্রহকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গত ৬ ও ৭ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অর্থাৎ ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশের শেরপুরের নয়, বরং ভারতের ত্রিপুরার এবং এটি মুরশিদপুর দরবার শরিফে হামলার ঘটনার অনেক আগের।

সুতরাং সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলবে অভিযান

জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ

আইপিএলে ফিরলেন মুস্তাফিজ

নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশাচালক হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাবি ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ চান ছাত্রদল নেতারা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘না’

সাংবাদিক মাহফুজের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় ডিআরইউর নিন্দা 

আঘাত যত শক্ত হবে- প্রতিঘাত তত কঠিন হবে, ভারতকে হুঁশিয়ারি

৫-১০ টাকা জীবনে এত আনন্দ আনতে পারে ভাবিনি : ড. ইউনূস

এনবিআর বিলুপ্তি একটি কসমেটিক সংস্কার মাত্র : মঈন খান

সাম্যের মৃত্যুতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শোক প্রকাশ

১০

মোজো সাংবাদিকতার গতিপথ পাল্টে দিয়েছে : কাদের গনি 

১১

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠারও আগে জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা : শিশির মনির

১২

কর্নেল সোফিয়াকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, বিতর্কে বিজেপি মন্ত্রী

১৩

অস্ত্রোপচারের পর কোমায় নটিংহ্যাম ফরেস্ট তারকা

১৪

পুলিশের লাঠিচার্জ-টিয়ারগ্যাসে আহত জবির ৩০ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে

১৫

সাম্যের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে ঢাবির কমিটি গঠন

১৬

নিজ ক্যাম্পাসে গিয়ে উচ্ছ্বসিত ড. ইউনূস

১৭

সাম্য হত্যায় ৩ জনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন 

১৮

চবির সমাবর্তনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান

১৯

প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে মালয়েশিয়া সফরে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

২০
X