আবার পাল্টাপাল্টি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত পাকিস্তান। দুই দেশই জানিয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মীকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কারের একদিন পর পাকিস্তান ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের একজন কর্মচারীকে বহিষ্কার করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ) পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ (পিএনজি) ঘোষণা করে তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বহিষ্কার করে। এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সাদ ওয়াররাইচকে একটি ডেমার্শের মাধ্যমে জানানো হয়। এতে ওই কর্মচারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে বলা হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পাঞ্জাবে দুই ব্যক্তির গ্রেপ্তারের পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মচারীর সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের একজন কর্মচারীকে ‘তার বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কার্যকলাপে’ জড়িত থাকার জন্য ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পাঞ্জাব পুলিশ গত ১১ মে ঘোষণা করে যে, তারা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের একজন কর্মচারীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। পুলিশের মহাপরিচালক গৌরব যাদব জানান, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর গতিবিধি সম্পর্কে ‘সংবেদনশীল তথ্য’ পাকিস্তান-ভিত্তিক একজন হ্যান্ডলারের কাছে পাঠিয়েছিলেন। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে জানা গেছে, এই দুই ব্যক্তি গোপনীয় তথ্যের জন্য অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পেয়েছিলেন এবং পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের নির্দেশে স্থানীয় অন্য এজেন্টদের কাছে তহবিল পাঠাতেন।
মন্তব্য করুন