সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করা তার জন্য একটি স্বপ্ন। তবে তিনি চান সৌদি আরব এটি তাদের নিজস্ব সময়ে করুক।
মঙ্গলবার (১৩ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের সঙ্গে কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি প্রকাশ করেছে। তবে এই ঘোষণায় ইসরায়েলের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে তথাকথিত ‘স্বাভাবিকীকরণ’ প্রক্রিয়া ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের এই অঞ্চলের নীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন ফোকাস অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
আরব গালফ স্টেটস ইনস্টিটিউটের নন-রেসিডেন্ট ফেলো আনা জ্যাকবস বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করেছে যে তারা সৌদি-ইসরায়েল স্বাভাবিকীকরণের পূর্বশর্ত ছাড়াই সৌদি আরবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলো এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক। এটি সম্ভবত গাজাসহ এই অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান হতাশাকে প্রতিফলিত করে।
বেকার ইনস্টিটিউটের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ফেলো ক্রিস্টিয়ান কোটস উলরিচসেন বলেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইসরায়েলের আলোচনা প্রত্যাখ্যানের কারণে ট্রাম্প বুঝতে পেরেছেন যে, সৌদি আরব-ইসরায়েল চুক্তির জন্য ‘সময় উপযুক্ত নয়’।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, আমি মনে করি হোয়াইট হাউস অবশেষে স্বীকার করেছে যে, এই মুহূর্তে একটি স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন