দেড় যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ দলে মিডল অর্ডারে আস্থার প্রতীক মুশফিকুর রহিম। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আরও একবার প্রমাণ করলেন ব্যাটিং বিভাগে তিনি কতটা ভরসার! দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিনে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১১তম শতক।
অথচ এ টেস্টের আগে আঙুলে ব্যথা পেয়েছিলেন। সে ব্যথা নিয়ে খেলতে নামেন। নেমে মেটালেন দুই দশকের আক্ষেপ। পাকিস্তানের মাটিতে নিজের প্রথম ও দেশের তৃতীয় ব্যাটার পেয়েছেন শতকের দেখা।
তার আগে পাকিস্তান সফরে টেস্টে শতক পেয়েছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন ও জাভেদ ওমর বেলিম। ২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরে করাচি টেস্টে সুমন আর পেশোয়ার টেস্টে শতক করেছিলেন জাভেদ।
তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। শতকেও তামিমকে ছাড়িয়ে গেলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
বাংলাদেশের ইনিংসের ১১৬তম ওভারে স্পিনার আগা সালমানের বলকে ফাইন লেগে পাঠিয়ে দুই রান নিয়ে পূরণ করেন শতক। মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে এবং গর্জনে সারেন শতকের উদযাপন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তার প্রথম শতক। আর টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ১১তম শতক। পাকিস্তানের মাটিতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে শতকের দেখা পেলেন তিনি। ১১তম শতক করে পেছনেও ফেলেছেন তামিমের ১০ টেস্ট সেঞ্চুরিকে। ১২ সেঞ্চুরি নিয়ে তার সামনে কেবল মুমিনুল হক।
দেশের বাইরে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ শতক করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও পেছনে ফেলেছেন তামিমের ৪ শতককে।
করোনা মহামারীর পর ধার বেড়েছে মুশফিকের ব্যাটের। করোনার আগে টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৩৮.৭৭ রান। ২০২১ সাল তা বেড়ে হয়েছে ৪৭.০৩ রান। গত তিন বছরে টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিক (১৩৩৪)।
এ সময়ে বেশিবার শত বা তার বেশি রানের জুটি গড়েছেন লিটন দাসের সঙ্গে। ১৬৫৮ রান তুলে শীর্ষে রয়েছে এ দুজনের জুটি।
মন্তব্য করুন