স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিদায়বেলায় মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান

জয় দিয়ে বিদায় নিতে চাইবে দুই দল। ছবি : সংগৃহীত
জয় দিয়ে বিদায় নিতে চাইবে দুই দল। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ভুলে যাওয়ার মতো এক আসর। দুটি দলই সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে, আর এখন তাদের সামনে কেবল একটি লক্ষ্য—সম্মান রক্ষা। কিন্তু সেই লড়াইও অনিশ্চয়তার মুখে! রাওয়ালপিন্ডির আকাশ কালো মেঘে ঢাকা, বৃষ্টির পূর্বাভাস চোখ রাঙাচ্ছে ম্যাচটিকে। এমন অবস্থায় দুই দল কি শেষ ম্যাচটি খেলার সুযোগ পাবে? নাকি আবহাওয়ার কারণে হতাশা নিয়েই বিদায় নিতে হবে?

পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার এই টুর্নামেন্টে ছিল অনুজ্জ্বল। ফখর জামান চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ পেয়েছিলেন ইমাম-উল-হক, কিন্তু তিনি কিছু করতে পারেননি। বাবর আজম ও সৌদ শাকিল একটি করে ফিফটি করলেও দলের ভাগ্য বদলাতে পারেননি। মোহাম্মদ রিজওয়ান শতক হাঁকিয়েছিলেন ঘরোয়া সিরিজে, কিন্তু এখানে সেটার ধারেকাছেও ছিলেন না।

মিডল-অর্ডারও হতাশ করেছে। খুশদিল শাহ, সালমান আগা ও তাইয়্যাব তাহির যেন একই ধরনের ব্যাটার, যার কারণে দল আক্রমণাত্মক হতে পারেনি। বোলিংয়েও পাকিস্তান ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে শাহীন আফ্রিদি ও হারিস রউফের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক, কেবল নাসিম শাহ কিছুটা ভালো করলেও সেরা ছন্দে ছিলেন না। আবরার আহমেদের এক দুর্দান্ত ডেলিভারির চেয়ে তার সেলিব্রেশনই বেশি আলোচিত হয়েছে!

বাংলাদেশের গল্পটাও প্রায় একই। টপ-অর্ডার একের পর এক ব্যর্থ হয়েছে, মিডল-অর্ডারও ধ্বসে পড়েছে, আর শেষ দিকে কেউ না কেউ চেষ্টা করে দলকে একটু সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাইকেল ব্রেসওয়েলের স্পিন সামলাতে পারেনি ব্যাটাররা। তবুও কিছু ইতিবাচক দিক আছে—নাজমুল হোসেন শান্ত ধারাবাহিক, জাকের আলি দুর্দান্ত খেলেছেন, আর তাওহিদ হৃদয় ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন।

তবে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ যদি এটিই তাদের শেষ আইসিসি আসর হয়, তাহলে তারা কি ব্যাট হাতে কিছু স্মরণীয় করে যেতে পারবেন? বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ যেহেতু মাত্র এক ম্যাচ খেলেছেন এবং তাতেও ব্যর্থ হয়েছেন, তাই তার সামনে আরেকটি সুযোগ থাকছে নিজেকে প্রমাণের।

বৃষ্টি বাধা না হলে কেমন হতে পারে ম্যাচ?

রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশন স্পিনারদের সহায়ক হতে পারে। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। অন্যদিকে পাকিস্তানের আবরার আহমেদ ইতোমধ্যেই দেখিয়েছেন তিনি উইকেট নিতে সক্ষম। তবে পেসারদেরও কাজে লাগতে হবে—বাংলাদেশের জন্য তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা বড় ভরসা, আর পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ হতে পারেন ত্রাতা।

তবে সব পরিকল্পনা বৃথা যাবে যদি বৃষ্টিই ম্যাচ গিলে নেয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ হয়তো চাইবে অন্তত সংক্ষিপ্ত ওভারের ম্যাচ হলেও হোক, যাতে শেষবারের মতো নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ থাকে।

শেষ পর্যন্ত, দুই দল কি মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে নামতে পারবে? নাকি রাওয়ালপিন্ডির আকাশই লিখে দেবে বিদায়ের গল্প? অপেক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারির!

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পর্শে মৃত্যু

৫ ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ

ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের শঙ্কা, সতর্কতা জারি

চলন্ত গাড়িতে গুলি করে এমপিকে হত্যা

মানবিক করিডোর দেশের জন্য অমানবিক হতে পারে : রাশেদ প্রধান

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, প্রেমিক কারাগারে

মে দিবস / বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা

লর্ডসে হবে আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল

রবীন্দ্রনাথের সেই বিরল প্রজাতির ‘উদয়পদ্ম’ ফুটেছে টাঙ্গাইলে

মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল বিএনপি নেতার

১০

ইতিহাসের ভয়াবহতম বিপদে ইসরায়েল, আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান

১১

ইয়ামালকে যে চ্যালেঞ্জ দিলেন ফ্লিক

১২

সবকিছুতেই তারা জড়িয়ে থাকেন অদৃশ্য ছায়ার মতো : শাকিব

১৩

পাকিস্তানে ব্যাপক গোলাগুলি, ৩ পুলিশ নিহত

১৪

বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ চলছে

১৫

‘শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে’

১৬

নারীর ঘর থেকে পুলিশ সদস্য আটক

১৭

লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

১৮

নারীবিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্যে জামায়াতে আমিরের দুঃখ প্রকাশ

১৯

পাবিপ্রবির লেকে মাছ ধরার উৎসব, মিলল ২০ কেজির গ্রাস কার্প

২০
X