বহুদিন ধরে জাতীয় দলের রাডারে আছেন তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটার সাইফ হাসান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার গড় ৪০-এর বেশি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও সেটা ৪০-এর কাছাকাছি। তবে তাকে বিবেচনা করা হয় শুধুই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। সেজন্য জাতীয় দলের দরজাও তার জন্য খুলেছিল টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই। তবে নিজেকে শুধুই তিনি টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ভাবতে নারাজ।
সর্বশেষ ইমার্জিং এশিয়াকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক ছিলেন সাইফ। আসছে এশিয়ান গেমসেও তার কাঁধে উঠতে পারে নেতৃত্বের দায়িত্ব। টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিন সংস্করণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত ভাবেন তিনি।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিসিবির মিডিয়া প্লাজায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সাইফ বলেন, ‘আমি কখনো নিজেকে টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে চিন্তা করিনি। আমি সবসময়ই তিন সংস্করণের ক্রিকেটার হিসেবেই নিজেকে চিন্তা করেছি। আমি চেষ্টা করছি দিন দিন উন্নতি করার। যখনই সুযোগ পাই উন্নতির চেষ্টা করি।’
এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের ব্যাকআপ ক্রিকেটারের পরিকল্পনায় আছেন সাইফসহ আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তাদেরও অনুশীলনের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলেছেন ইমার্জিং এশিয়া কাপ। তাই তো সেখানকার কন্ডিশন ও উইকেট সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রয়েছে তার। সেই ধারণা থেকে সাইফ বলেন, ‘আমার মনে হয়, শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং কাপে যেসব ম্যাচ খেলেছি সেমিফাইনাল বাদে সব ম্যাচে ৩০০ প্লাস স্কোর হয়েছে। যেহেতু বড় ইভেন্ট আসছে, এরকমই হবে, ৩০০ প্লাস রানের উইকেট। আমার মনে হয়, ওভাবেই প্রস্তুত হওয়া উচিত। ৩০০ প্লাস রান তাড়ার সামর্থ্য থাকা উচিত আমাদের। অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। সবাই খুব ভালো ছন্দে আছে। ইনশাআল্লাহ সবাই ভালো করবে।’
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের সঙ্গে নিজ দেশের কন্ডিশনের মিলও খুঁজে পেয়েছেন সাইফ, ‘আমার মনে হয়, ওখানে কন্ডিশন কিছুটা আমাদের দেশের মতো। আমরা শেষবার যখন খেললাম, উইকেট কিছুটা টার্নিং ছিল। সাধারণত ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি থাকে। আমার মনে হয়, সাধারণত কন্ডিশন একই রকম থাকে। যদি আমরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারি (তাহলে) ভালো কিছু হবে।’
মন্তব্য করুন