বিশ্বের বড় কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে একসঙ্গে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার? এমন দৃশ্য কল্পনাতেও ছিল না অনেক টাইগার ভক্তের। তবে এবার সেই কল্পনাকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের দল লাহোর কালান্দার্স। একের পর এক চমক উপহার দিয়ে শেষ পর্যন্ত প্লে-অফের লড়াইয়ের আগেই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেনকে আবারও স্কোয়াডে ভিড়িয়ে তাক লাগিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
এর আগে সাকিব আল হাসানকে দলে নিয়েছিল ইনজুরির শিকার ড্যারিল মিচেলের জায়গায়। এরপর সিকান্দার রাজার বিদায়ের পর দলে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর এবার পুরনো সৈনিক রিশাদকেও ফেরানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ঠিক আগমুহূর্তে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে একই দলে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার—এ যেন সত্যিকারের ঈদের উপহার দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য। সাকিব, মিরাজ আর রিশাদ—তিনজনই স্পিনিং অলরাউন্ডার, তিনজনই জাতীয় দলের পরিচিত মুখ। পিএসএলের মঞ্চে এমন দৃশ্য যে কতটা বিরল ও গর্বের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
লাহোর কালান্দার্সের সাবেক ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এখন দলে থাকায় এই সিদ্ধান্তের পেছনে তার ভূমিকা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
পিএসএলের শুরুতে লাহোর কালান্দার্সের হয়েই মাঠে নেমেছিলেন রিশাদ হোসেন। পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে নজর কাড়েন। তবে এরপর টুর্নামেন্ট বন্ধ হলে দেশে ফিরে যান এবং আরব আমিরাত সফরের জন্য জাতীয় দলে যোগ দেন।
সেই সফর শেষে আবার পাকিস্তানেই জাতীয় দলের সফর থাকায়, দুই কাজ একসাথেই সেরে নিতে এবার আবার লাহোর দলে জায়গা করে নিলেন এই লেগ স্পিনার। প্লে-অফের আগেই তাকে দলে পেয়ে স্বস্তিতে কালান্দার্স শিবির।
তিনজনই স্পিনিং অলরাউন্ডার হওয়ায় একাদশ বাছাই নিয়ে কিছুটা ভাবনায় পড়তে পারেন কোচ ডমিঙ্গো। সাকিবের অভিজ্ঞতা, মিরাজের স্থিতিশীলতা আর রিশাদের আক্রমণাত্মক লেগ স্পিন—এই তিনটি বৈশিষ্ট্যই আলাদা। ফলে ম্যাচ পরিস্থিতি, উইকেট কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ অনুযায়ী হতে পারে একাদশে রদবদল।
রিশাদ এখন পর্যন্ত লাহোরের হয়ে খেলেছেন ৫টি ম্যাচ, নিয়েছেন ৯ উইকেট মাত্র ১৬.৪৪ গড়ে। তরুণ এই লেগি আবারো নিজের চেনা পরিবেশে ফিরছেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
২০২৫ পিএসএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এমন আধিপত্য নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো। টাইগার ভক্তরা এখন তাকিয়ে আছেন একটাই প্রশ্ন নিয়ে, ‘একই ম্যাচে দেখা যাবে তো তিনজনকেই?’
মন্তব্য করুন