বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৯ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের তৃতীয় দিনেই সবকিছু শেষ করে দেয় সফরকারীরা।
জয়ের মূল নায়ক ছিলেন অজি পেসার জশ হ্যাজলউড। দ্বিতীয় ইনিংসে তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে (৫/৪৩) স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে দেন এই ডানহাতি পেসার।
শেষ ইনিংসে ৩০১ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুটা কিছুটা ভালোই করেছিল তারা, এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৪৭-১। কিন্তু হ্যাজলউডের ধারাবাহিক আক্রমণে হঠাৎ করেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। মাত্র ৯ রানের মধ্যে চারটি উইকেট হারিয়ে পড়ে যায় চাপে।
৫৬-৫ অবস্থায় থেকে ম্যাচে ফিরতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। শেষদিকে জাস্টিন গ্রিভস (৩৮*) ও শামার জোসেফ (৪৪) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। জোসেফ তার ২২ বলের ইনিংসে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ক্ষণিকের জন্য উত্তেজনা ছড়ান।
হ্যাজলউডের পর নাটকীয় শেষ ওভারে নাথান লায়ন তুলে নেন শেষ দুটি উইকেট। ফলে মাত্র তিন দিনেই নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১০ রান করে। অ্যালেক্স কেরি সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন। সেই সাথে ট্রাভিস হেডের ৬১ ও বিউ ওয়েবস্টারের ৬৩ রানের অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ১৯০। ফলে শুরু থেকেই ম্যাচে এগিয়ে ছিল সফরকারীরা।
ম্যাচ শেষে হ্যাজলউড বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছিল, তখনই আমরা বুঝেছিলাম কিছু হতে পারে। তবে এত দ্রুত সব শেষ হবে ভাবিনি। আমরা একপ্রকার একই লেংথে বল করে গিয়েছি এবং সুযোগ তৈরি করেছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ড্যারেন স্যামি ম্যাচের প্রথম ভাগে কিছু আম্পায়ারিং সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তার অভিযোগের কিছুই ছিল না। মাঠের চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন, অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মেধাবী বোলিং এবং কিছু ভুল শট — সব মিলিয়ে হারের কারণ স্পষ্ট।
মন্তব্য করুন