দুবাইয়ের গ্যালারিতে গতকাল ছিল নিরাশার দীর্ঘশ্বাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় মানেই ফাইনাল—এমন সমীকরণে নেমেও ১৩৬ রানের সামান্য টার্গেট টপকাতে পারল না বাংলাদেশ। ব্যাটারদের হড়কানো উইকেটে শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে থেমে যায় ইনিংস, ১১ রানের হারে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যায় লিটন দাসের দল।
তবে টুর্নামেন্ট শেষে এবার আর দেশে ফেরা হচ্ছে না টাইগারদের। আগে থেকেই ঠিক করা ছিল—এশিয়া কাপের ব্যস্ততা শেষ হতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতেই শুরু হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। তাই হতাশার রাতের পরও ক্রিকেটারদের ব্যাগ গুছিয়ে দেশে ফেরার তাড়া নেই।
২ অক্টোবর শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ হবে যথাক্রমে ৩ ও ৫ অক্টোবর। এরপর ৮ অক্টোবর মাঠে গড়াবে ওয়ানডে সিরিজ, বাকি দুই ম্যাচ হবে ১১ ও ১৪ অক্টোবর।
আফগানিস্তান এবারের এশিয়া কাপ থেকে গ্রুপপর্বেই বিদায় নিলেও বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। গ্রুপপর্বে মুখোমুখি লড়াইয়ে জয় পেয়েছিল লিটনরা, তবে রশিদ খান ও মুজিবদের স্পিনই থেকে যাচ্ছে বড় হুমকি। ফলে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে হলে ব্যাটারদের দায়িত্বশীল হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
এশিয়া কাপে ফাইনালের স্বপ্ন হাতছাড়া হলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ টাইগারদের জন্য হবে নিজেদের পুনর্গঠনের সুযোগ। ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে লড়াকু মানসিকতায় ফিরতে পারলেই আবারও আস্থা ফিরে পাবে বাংলাদেশ দল।
মন্তব্য করুন