দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আফগানিস্তান। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত এখন তাদের জন্য পরিণত হয়েছে কঠিন এক পরীক্ষায়। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলারদের শৃঙ্খলিত বোলিংয়ে রানের চাকা যেন থমকে গেছে আফগানদের।
৩৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৬ রান। রান তুলতে হয়েছে কষ্টের বিনিময়ে, কারণ বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই রেখেছেন নিখুঁত নিয়ন্ত্রণ। ডট বলের পরিমাণ বেড়েই চলেছে, বাউন্ডারি এসেছে গোনা কয়েকটি।
ইনিংসের শুরুতেই প্রথম ধাক্কা দেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আফগান ওপেনার রহমনুল্লাহ গুরবাজ (১১) তার শিকার হন। এরপর সেদিকুল্লাহ আতালকে (৮) ফেরান তানভির ইসলাম। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগান শিবির।
অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি (৪) এবং অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী (২২) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি বেশিক্ষণ টেকেনি। নবীকে ফেরান তানজিম, আর শাহিদির উইকেট নেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ নিজেই।
এরই মধ্যে আফগান ইনিংসে আরও এক ধাক্কা—মধ্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার রাহমত শাহ পেশির টান অনুভব করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ফলে আফগানিস্তানের ব্যাটিং আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর বোলার তানজিম হাসান সাকিব, ৬ ওভারে মাত্র ২৯ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। সমানভাবে মুগ্ধ করেছেন মেহেদি মিরাজ (৬-০-৩০-১), তানভির ইসলাম (৮-০-২৯-১) এবং রিশাদ হোসেন (৭-০-৩০-১)।
আবুধাবির এই উইকেটে রান তোলাই কঠিন, তার ওপর বাংলাদেশি বোলারদের ধারাবাহিক শৃঙ্খলিত বোলিং আফগানদের আরও বিপাকে ফেলেছে। এখন চোখ থাকবে—এই ইনিংসকে কতটা সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন মিরাজরা।
স্কোর সংক্ষেপ (৩৩ ওভারে): আফগানিস্তান ১৩৬/৫ (রাহমত শাহ রিটায়ার্ড হার্ট) বোলারদের মধ্যে তানজিম হাসান সাকিব ২ উইকেট, মিরাজ, তানভির ও রিশাদের ১টি করে।
মন্তব্য করুন