হঠাৎ করে অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যা নিয়ে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। চলছিল আলোচনা-সমালোচনাও। এ অবস্থার মধ্যে এক দিন পরই সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। কিন্তু কেন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তামিম, ঘুরেফিরে এ প্রশ্ন হয়তো অনেকের মাথায় আসছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) চট্টগ্রামে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তামিম জানিয়েছিলেন, হুটহাট করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেননি। অনেক চিন্তাভাবনা করেই জাতীয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। হাতে আছে তিন মাসেরও কম সময়। সেখানে ওয়ানডে অধিনায়কের বিদায়ের সিদ্ধান্তে দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেটা হয়তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেছেন। আর তাই তামিমকে ফেরাতে উদ্যোগী হন তিনি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তামিম।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তামিম ইকবাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজকে দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে উনার বাসায় দাওয়াত করেন। অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তে ফিরিয়ে নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করতে না পারার কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা জানিয়ে তামিম বলেন, আমি সবাইকে ‘না’ বলতে পারি কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিকে ‘না’ বলা আমার জন্য অসম্ভব। পাপন ভাই, মাশরাফি ভাই অনেক বড় প্রভাব রেখেছেন। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে এনেছেন, পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে বা মানসিকভাবে যদি আমি ফ্রি হতে পারি... তারপরে যে খেলাগুলো আছে, আমি ইনশাআল্লাহ্ খেলব।
এর আগে শুক্রবার (০৭ জুলাই) দুপুরে মাশরাফি বিন মুর্তজার মাধ্যমে তামিম ইকবালকে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তামিমের সঙ্গে তার স্ত্রী আয়েশা।
মন্তব্য করুন