এবারের বিপিএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই রংপুরের টপ অর্ডারে ভালো খেলেছে। তবে মহাগুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিফায়ারে এসে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার। তবে তারপরেও কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে বড় টার্গেট দিতে পেরেছে রংপুর যার পুরো কৃতিত্ব কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশামের। তার ঝড়ো ৯৭ রানে ভর করে শুরুর চাপ সামলে বেশ বড় সংগ্রহ আনতে পেরেছে এবারের আসরের হট ফেভারিটরা।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিশাম ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর রাইডার্স।
টস হেরে ব্যাটিং অর্ডারে এই ম্যাচে প্রমোশন দেওয়া হয় শামিম হোসেনকে। ইনিংস ওপেন করতে রনি তালুকদারের সাতে নেমে অবশ্য ফ্লপ এই তরুণ ব্যাটার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শুণ্য রানে ফিরেন শামিম।
সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও। ১১ বলে ১৩ রান করেছেন তিনি। দ্রুত দুই ওপেনার ফেরার পর এই ম্যাচে ত্রাতা হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তিনে নেমে মাত্র ৫ রান করেই এই অভিজ্ঞ ব্যাটার বিদায় নেন।
২৭ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলের হাল ধরেন জিমি নিশাম। চতুর্থ উইকেটে শেখ মেহেদিকে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন নিশাম। ২২ রান করে মেহেদি ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ভালো শুরু করেন নিকোলাস পুরাণ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। এই ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটারের ব্যাট থেকে ৯ বলে ১৪ রান আসে। আর শেষদিকে ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংসে নিশামকে সঙ্গে দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।
নিশাম এদিন তার বিপিএল সেরা ইনিংস খেলেছেন। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও অবশ্য মাইলফলক ছুঁতে পারেননি বল না থাকার কারণে। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই কিউই।
কুমিল্লার পক্ষে আন্দ্রে রাসেল ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। সুনীল নারিন ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া রোহানাত দৌলা বর্ষণ, তানভীর ইসলাম ও মুশফিক হাসান ১টি করে উইকেট শিকার করেন। এদের মধ্যে মুশফিক ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৭২!
মন্তব্য করুন